সাতকানিয়ায় বাজালিয়া ইউপি নির্বাচনে নির্বাচনী সহিংসতার হত্যা মামলায় কারাগারে গেল ৬ অভিযুক্ত

সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়ার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শুক্কুর হত্যা মামলায় ৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ২০ই জুন সোমবার চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতের জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমেদ ভূঁইয়া শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

গত ৭ই ফেব্রুয়ারি বাজালিয়া ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন বর্তমান বাজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তাপস দত্ত। উক্ত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত বিদ্রোহী প্রার্থী শহীদুল্লাহ চৌধুরী। নির্বাচন চলাকালীন সময় সকাল ১০টার দিকে বাজালিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে সাঙ্গু নদীর পাড় সংলগ্ন ইউনিয়ন পরিষদ ভোট কেন্দ্রের বাইরে নৌকা দিয়ে নদী পার হয়ে কিছু লোক এসে গুলি ছোড়ে। পরে চারজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে আব্দুর শুক্কুর নামে ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়।

ওই ঘটনায় নিহতের ভাই জুয়েল বাদী হয়ে শহিদুল্লাহ চৌধুরীকে ১নং আসামি উল্লেখ করে সাতকানিয়া থানায় এজাহারের মাধ্যমে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকেই এজাহারভুক্ত আসামীরা পালাতক। পরে ২নং আসামি শহিদুল্লাহর ছোট ভাই রফিকুল চোধুরীসহ ৬ জন হাইকোর্ট হতে জামিন নেন। জামিনের মেয়াদ শেষে চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতে তারা আত্নসমর্পণ করতে গেলে জেলা জজ তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলো- রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, আজাদ হোসেন সাব্বির, আবদুল আহাদ মীর, আবু সাঈদ চৌধুরী, মো. ইসহাক ও আবু সুফিয়ান চৌধুরীসহ মোট ৬জন।

উপরোক্ত আসামীগণ প্রত্যেকেই লায়ন শহীদুল্লাহ চৌধুরীর অনুসারী ও আত্মীয়স্বজন বলে নিশ্চিত করেন বাদীর আইনজীবীগণ।