দক্ষিণ চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রামে ঈদ উদযাপিত

বিশেষ প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দক্ষিণ চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রামে ঈদ-উল আযহা উদ্‌যাপন করা হয়েছে।  ঈদের জামাত শেষে দেওয়া হয়েছে পশু কোরবানি।
শনিবার (৯ জুলাই) সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরিফের খানকাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৯ টায় ঈদ-উল আযহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।  বর্তমান সাজ্জাদানশীন হজরত শাহ জাহাঁগীর তাজুল আরেফীনের (ক.) তত্ত্বাবধানে হজরত ইমামুল আরেফীন ড. মৌলানা মুহাম্মদ মকছুদুর রহমান নামাজে ইমামতি করেন।
দরবার সূত্র জানায়, মির্জাখীল, এওচিয়ার গাটিয়াডেঙ্গা, আলীনগর, মাদার্শা, খাগরিয়া, মৈশামুড়া, পুরানগড়, বাজালিয়া, মনেয়াবাদ, চরতি, সুঁইপুরা, হালুয়াঘোনা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারালা, বাইনজুরি, চরবরমা, কেশুয়া, কানাই মাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিরজুরি, বাঁশখালীর কালীপুর, চাম্বল, ডোংরা, শেখেরখীল, ছনুয়া, পুঁইছড়ি, আনোয়ারার বরুমছড়া, তৈলারদ্বীপ, বারখাইন, খাসকামা, কাঠাখালী, রায়পুর, গুজরা, লোহাগাড়ার পুঁটিবিলা, কলাউজান, চুনতি এবং সীতাকুণ্ডের মাহমুদাবাদ, বারৈয়ারঢালা, বাঁশবাড়িয়া, সলিমপুর, মহালংকা, ফেনী, রাঙামাটি, কুমিল্লা, ঢাকা, মুহাম্মদপুর, মুন্সীগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, মনোহরদী, মঠখোলা, বেলাব, আব্দুল্লাহনগর, কাপাসিয়া, চাঁদপুর জেলার মতলব, সিলেট, হবিগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, নোয়াখালী, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, মিরসরাই, পটিয়া, বোয়ালখালী, হাটহাজারী, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, রাউজান ও ফটিকছড়ির কয়েকটি গ্রামসহ চট্টগ্রামসহ পাশের জেলাগুলোর শতাধিক গ্রামের বহুসংখ্যক অনুসারী ঈদ-উল আযহা উদযাপন করেছেন।
এ ছাড়া পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজারের চকরিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার অনেক গ্রামে মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরাও ঈদ-উল আযহা উদযাপন করছেন, কোরবানি দিচ্ছেন।
মির্জাখীল দরবার শরিফের মোহাম্মদ মছউদুর রহমান বলেন, আমরা হানাফি মাজহাবের অনুসারী হিসেবে বিগত ২০০ বছর ধরে ইয়াউমুল আরাফাহ বা পবিত্র হজ দিবসের পরের দিনই ঈদ-উল আযহা পালন করে আসছি।  বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে চাঁদের অবস্থান এবং হজ পালনের খবর সচিত্র দেখে তথা এই বছর শায়খ ড. মুহাম্মাদ বিন আব্দুল করিম আল-ইসসা কতৃর্ক প্রদত্ত হজের খুতবা সরাসরি পবিত্র আরাফাতের মসজিদে নামিরা থেকে দেখে-শুনেই আজ শনিবার ঈদ-উল আযহা উদযাপিত হচ্ছে।

ডিসি/এসআইকে/সিসি