এক তরমুজের দাম ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা!

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
পবিত্র মাহে রমজানের চতুর্থদিন শুক্রবার (১৫ মার্চ)। রাতে একটু শীতের পরশ লাগলেও সকাল গড়িয়ে দুপুর নামতেই শুরু হয় গরম। এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। তারা তরমুজের অতিরিক্ত দাম হাঁকিয়ে বিক্রি করছেন।
এখনো তরমুজের মৌসুম না হলেও লাল রং ও মিষ্টির গ্যারান্টি দিয়ে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। বড় তরমুজগুলো অধিকাংশ জায়গায় বিক্রি করে কেজি দরে। আর ছোট সাইচের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে পিস হিসেবে। বড় তরমুজগুলো কেজি দরে মাপলে দেখা যাচ্ছে প্রতিটি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৭০০ টাকায়। আর ছোট তরমুজগুলো ১৫০-২৫০ টাকা। ছোট-বড় আকারভেদে দামও ঠিক করছেন খুচরা বিক্রেতারাই।
নগরের কর্ণেলহাট, কাজীর দেউড়ি, বহদ্দারহাট, অলংকার, আগ্রাবাদ, নতুন ব্রিজ এলাকার বাজারে উঠেছে রসালো ফল তরমুজ। ছোট-বড় সব ধরনের তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে এসব বাজারে। যে তরমুজ ছোট, সেগুলোর দাম একটু কম। আবার যে তরমুজ আকারে বড় ও দেখতে সুন্দর, সেগুলোর দাম বেশি। ক্রেতাদের আশ্বস্ত করতে ব্যবসায়ীরা কেটে দেওয়ার কথাও দিচ্ছেন। তরমুজ কেটে ভেতরের লাল অংশও দেখিয়ে দিচ্ছেন।
কর্ণেলহাট বাজারের তরমুজ বিক্রেতা নুরুল আমিন বলেন, ছোট-বড় সব ধরনের তরমুজ আমাদের এখানে রয়েছে। আকারভেদে তরমুজ বিক্রি করছি। তরমুজের সিজন না হওয়ায় দাম একটু বেশি। আনতেও খরচ বেশি পড়ছে। সবমিলিয়ে দাম বেশি।
এখানে তরমুজ কিনতে আসা ক্রেতা সোহানা বেগম বলেন, ২০০ টাকার তরমুজ ৪০০ টাকা, ৩০০ টাকার তরমুজ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি করতেছে। অন্য দোকানে গেলাম। দেখছি কেজি হিসেবে বিক্রি করছে ৯৫ টাকায়। এতে দেখা গেছে একটি তরমুজের দাম পড়ছে ৮০০ টাকায়। ৪০০ টাকায় একটা ছোট তরমুজ কিনেছি ইফতারের জন্য। এ দেশের মানুষ ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি।
ঝাউতলা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আপেল, কমলা ও মাল্টাসহ অন্যান্য ফলের পাশাপাশি বাজারে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। কেউ বিক্রি করছেন ছোট তরমুজ, আবার কেউ বিক্রি করছেন বড় তরমুজ। ছোট তরমুজ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একেবারে ছোট সাইজের তরমুজগুলো বিক্রি হচ্ছে ১৫০-২৫০ টাকায়। বড় সাইজের তরমুজ ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তরমুজের মৌসুম না হওয়ায় অনেক সময় কাটার পর তরমুজ সাদা দেখা যাচ্ছে।
কাজীর দেউড়ি বাজার থেকে বিএনপি অফিস হয়ে লাভলেইনের ঠিক মাঝামাঝি রাস্তার একপাশে ভ্যানগাড়ির দীর্ঘ সারি। এসব ভ্যানে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। বিক্রেতারা জানান, আকার ও মানভেদে প্রতিটি তরমুজ ৪০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তরমুজের দাম গতবারের তুলনায় এবার বেশি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতারা বলেন, তরমুজের মৌসুম এখনো আসেনি। মাত্র পাকতে শুরু করেছে। আরও ২০-২৫ দিন পরে তরমুজের মৌসুম এলে দাম কমে যাবে।
জহিরুল আলম নামের এক ক্রেতা বলেন, বাজারে মাত্র তরমুজ উঠতে শুরু করেছে। তাই দামটা একটু বেশি মনে হচ্ছে। রমজানে অতিরিক্ত দাম বাড়ানো উচিত হয়নি। অনেক ক্রেতা দাম শুনেই চলে যাচ্ছে।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর