টমেটো চাষ করে সফল সীতাকুণ্ডের মোহাম্মদ আলী : সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় ক্ষতি

জয়নাল আবেদীন, সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি >>>
উত্তর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ৪ নম্বর মুরাদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গুলিয়া খালী গ্রামে টমেটো চাষ করে স্বাবলম্বী মোহাম্মদ আলী। তিনি এবার প্রায় ৫ একর জমিতে টমেটোর চাষ করেন। দৈনিক ৩০ থেকে ৪০ জন কৃষক টমেটোর বাগানে শ্রম দেন। ছদ্মবেশী বেকাররাও সময় করে টমেটো চাষে মনোযোগ দেন। গুলিয়াখালিতে মোহাম্মদ আলীর টমেটোর বিরাট বাগান দেখে সন্তুষ্ট এলাকাবাসী। কারণ এই গ্রামের অধিকাংশ কৃষক ভরা মৌসুমে আলীর টমেটো বাগানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
সীতাকুণ্ডে কৃষির উন্নয়নের ক্ষেত্রেও আলীর বিরাট অবদান রয়েছে। আলী টমেটো চাষ করে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। বিভিন্ন কৃষি মাধ্যম থেকে সম্মাননায়ও তিনি নির্বাচিত হয়েছেন।
টমেটো চাষ করে কিভাবে লাভবান হলেন? দৈনিক চট্টগ্রামের এ প্রতিবেদক প্রশ্ন করলে মোহাম্মদ আলী বলেন, ফরমালিন মুক্ত টমেটোর চাষ, বিষাক্ত পদার্থ ছাড়া টমেটো উৎপাদন করা হয় বিধায় আমি সফল হয়েছি। তবে দুঃখের বিষয়, টমেটো সংরক্ষণের জন্য কোল্ড স্টোরেজ না থাকার কারণে ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। অকেজো স্লুইস গেইটে পানি জমে থাকে, জমা পানি একসাথে ছুটলে বন্যায় পুরো টমেটো বাগান বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হয়। তাছাড়া পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকার দরুন সমস্যা বয়ে আনছে। তিনি বলেন, টমেটোর ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় আমরা হতাশ। সরকারি, বেসরকারি সংস্থা বা এনজিও যদি এগিয়ে আসে তাহলে এসব সমস্যা সমাধান হবে।

ডিসি/এসআইকে/এমজেএম