শব্দ ব্যবহারে সচেতন হতে সাংবাদিকদের পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
সংবাদ লেখার ক্ষেত্রে শব্দ ব্যবহারে সাংবাদিকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।  তিনি বলেন, ‘কখনও কখনও একটি শব্দের জন্য বিভ্রান্তি তৈরি হয়ে যায়।  আমি আপনাদের বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করবো, এ বিষয়ে একটু সতর্ক থাকবেন’।  বুধবার (১৪ অক্টোবর) শিক্ষা বিষয়ক রিপোর্টারদের একাংশের একটি সংগঠন ‘এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ (ইরাব) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এসব পরামর্শ দেন শিক্ষামন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের উদ্দেশ বলেন, ‘সাংবাদিকদের কাজটি জরুরি বলেই সেখানে সতর্কতার প্রয়োজন রয়েছে।  আমরা কী বলছি, কেমনভাবে বলছি, তা ভাবাটা জরুরি।  সবটাই সংবাদ কিনা, কোন তথ্য কতটা গুরুত্ব বহন করে, কোনো তথ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হতে পারে কিনা, সেটি লাভের বদলে ক্ষতির কারণ হয়ে যেতে পারে কিনা– এসব কারণেই এ বিষয়গুলোতে গুরুত্বের প্রয়োজন রয়েছে’।
রিপোর্ট লেখার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেকের পেশাতেই আনন্দের যেমন দিক রয়েছে, তেমনি সতর্ক থাকারও জায়গা রয়েছে।  আমি বিশ্বাস করি, ইরাব এই বিষয়গুলো চিহ্নিত করে সচেতন ও সতর্ক থাকবে।  কারণ, বস্তুনিষ্ঠতা খুব জরুরি, কোথাও যেনও কোনোভাবে বিভ্রান্তি তৈরি না হয়’।
উদাহরণ তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘হয়তো পরীক্ষা নিয়ে একটি কথা বললাম, ঠিক যেভাবে বললাম, পত্রিকার পাতায় সেভাবে এলো না।  এলো শব্দের হেরফের, এদিক-ওদিক হয়ে…।  কিন্ত অনেক সময় শব্দ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তার যে প্রভাব অনেক বড়, সে কারণে শব্দ ব্যবহারে সতর্ক হওয়া খুবই জরুরি।  যিনি রিপোর্ট লিখছেন তিনি যদি কেউ যা বলেছেন সেই শব্দগুলোকে অবিকৃত রাখেন তাহলে আমাদের সঠিক বার্তা পৌঁছে দিতে পারবেন’।
শুধু পরীক্ষানির্ভর মূল্যায়ন, সনদসর্বস্ব শিক্ষা ও জিপিএ-৫ বিষয়গুলোকে নিরুৎসাহিত করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অতিরিক্ত পরীক্ষা নির্ভরতা রয়েছে।  পরীক্ষা মানেই অতিরিক্ত চাপ।  এই চাপ শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, অভিভাবকদের জন্য, সেটি পুরো সিস্টেমের জন্য।  তার সঙ্গে একটি সনদসর্বস্ব ব্যাপার রয়েছে।  জাস্ট সার্টিফিকেট পেতে হবে।  কিন্তু একটা কাগজের সঙ্গে আর কী পাচ্ছি?  যেসব দক্ষতা যোগ্যতার কথা বলা হয়েছে, তা পেয়েছি কিনা, তা প্রয়োগ করতে পারবো কিনা?  সে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ’।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষা বিষয়ক রিপোর্টারদের একাংশের সংগঠন ইরাবের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে তিন জন রিপোর্টারকে ‘বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়।  তাদের মধ্যে রয়েছেন কালের কণ্ঠের শরিফুল আলম সুমন, দ্য ডেইলি সানের সোলাইমান সালমান এবং বণিক বার্তার সাইফ সুজন।
অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাদ্রাসা ও কারিগরি বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক এবং ইরাবের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ