স্কুলের বাইরে থাকলেও শিক্ষা পাবে পাহাড়ি শিশুরা

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
বিদ্যালয়ের বাইরেও সামাজিক শিক্ষা পাবে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির আদিবাসী শিশুরা। এতে সর্বমোট ব্যয় হবে ৪১ কোটি ৫৫ লাখ ৩ হাজার টাকা। বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশুদের শিখন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ইমপ্লিমেন্টেশন সাপোর্ট এজেন্সি (আইএসএ) এর সেবা ক্রয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। সভায় কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভাশেষে অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা কমিটির অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন।
তিনি জানান, সভায় খাগড়াছড়ি এবং রাঙামাটি জেলার বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশুদের শিখন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ইমপ্লিমেন্টেশন সাপোর্ট এজেন্সির সেবা ক্রয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
‘চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪)’ প্রকল্পের আওতায় খাগড়াছড়ি জেলার ৭টি উপজেলা এবং রাঙামাটি জেলার ৬টি উপজেলার বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশুদের শিখন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য আগ্রহপত্র আহ্বান করা হয়।
জানা গেছে, সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত খাগড়াছড়ির জন্য ৬টি এবং রাঙামাটির জন্য ৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে খাগড়াছড়ির জন্য ৪টি এবং রাঙামাটির জন্য ৫টি আগ্রহপত্র জমা পড়ে। সবগুলো প্রস্তাবই রেসপনসিভ হয়। সব প্রক্রিয়া শেষে পিইসি কর্তৃক নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশকৃত সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান (১) খাগড়াছড়ি জেলার জন্য প্রগ্রেসিভ শিরোনামের প্রতিষ্ঠানকে ২২ কোটি ৩৭ লাখ ৩৩ হাজার টাকায় এবং (২) রাঙামাটি জেলার জন্য আশ্রয় অঙ্গন শিরোনামের প্রতিষ্ঠানকে ১৯ কোটি ১৭ লাখ ৭০ হাজার টাকাসহ প্রকল্পে সর্বমোট ব্যয় হবে ৪১ কোটি ৫৫ লাখ ৩ হাজার টাকা।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ