মহিলা কলেজে ৬ পুরুষ শিক্ষার্থী!

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক

আবাসিক মহিলা কলেজে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ভর্তির চূড়ান্ত তালিকায় ছয় পুরুষ শিক্ষার্থীর নাম এসেছে। টাঙ্গাইলের সখীপুর ওই কলেজে ভর্তি তালিকায় নাম আসা শিক্ষার্থীদের দাবি, তারা যথাযথ নিয়ম মেনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ফরম পূরণ করেছিলেন। অন্যদিকে কর্তৃপক্ষ বলছে, মহিলা কলেজকে পছন্দের তালিকায় রেখে ওই পুরুষ শিক্ষার্থীরা ভর্তি ফরম পূরণ করে। মহিলা কলেজে ভর্তির তালিকায় নাম আসা শিক্ষার্থীরা হলেন আবদুল আলীম, মো. সজল হোসেন, ফরহাদ আলম, মো. রাসেল হোসাইন, মো. হৃদয় খান ও সেলিম মাহমুদ। মো. রাসেল হোসাইন নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ত্রুটির কারণে আমরা এক বছর পিছিয়ে যাচ্ছি। কারণ, অনলাইনে আবেদনের সময় মহিলা কলেজের নামে ক্লিক করার পর আমাদের আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু ওয়েবসাইটে ওই ধরনের ব্যবস্থা থাকলে আমাদের আবেদন গ্রহণ হতো না। এতে হয়তো আমরা অন্য কলেজে ভর্তি হতে পারতাম’। এই ছয় শিক্ষার্থী দ্বিতীয়বার রিলিজের মাধ্যমে ভর্তির সুযোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজ সূত্রে জানা যায়, অধিভুক্ত কলেজগুলোতে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়ার জন্য গত ১১ থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ওই ছয় শিক্ষার্থী সরকারি সাদত কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হওয়ার জন্য অনলাইনে ফরম পূরণ করে। মেধার ভিত্তিতে ওই কলেজের কোটা পূরণ হওয়ায় তারা সেখানে ভর্তির সুযোগ পায়নি। এদিকে সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজের ৫০ আসনের বিপরীতে মাত্র ৯ জন নারী শিক্ষার্থী প্রথম দফায় ভর্তি হন। বাকি ৪১ আসন শূন্য থাকে। দ্বিতীয় দফায় শূন্য আসন পূরণের লক্ষ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গত ১৯ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিলিজ স্লিপে ভর্তি হওয়ার সুযোগ দেয়। তখন প্রথমবার ভর্তির সুযোগ না পাওয়া ওই ছয় পুরুষ শিক্ষার্থী সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজসহ আরও দু’টি কলেজকে চয়েজ দিয়ে অনলাইনে ফরম পূরণ করেন। ২ জানুয়ারি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত চূড়ান্ত তালিকায় সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজে শূন্য ৪১ আসনে ৪১ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তির জন্য যোগ্য দেখানো হয়। এই তালিকায় ছয়জন ছেলের নাম দেখে বিব্রত হয়ে পড়েন মহিলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকরা। সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক রমজান আলী বলেন, ‘ভর্তির চূড়ান্ত তালিকায় নাম থাকা কয়েকজন ছেলে শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে ভর্তি হওয়ার জন্য আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। পরে তারা ভর্তি হওয়ার সুযোগ না পেয়ে লজ্জিত হয়ে চলে যান’। সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান এসএম জাকির হোসাইন বলেন, ‘ওই ছয় ছেলে শিক্ষার্থীর কোনোভাবেই মহিলা কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ নেই। এমনকি তারা এবার অন্য কলেজেও ভর্তির সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। ভর্তির জন্য তাদের আগামি বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে’।

ডিসি/এসআইকে/দৈচডে