পুরস্কারে বিভ্রাট : ঢাকা অ্যাটাকের প্রযোজক-পরিবেশক ক্ষমা চাইলেন

আলোচিত চলচ্চিত্র ‘ঢাকা অ্যাটাক’

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক : জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আবেদনে ‘ভুল করে’ বাংলাদেশি পরিচয় দিয়ে এক ভারতীয় নাগরিকের নাম পাঠানোর কথা স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে জুরি বোর্ডকে চিঠি দিয়েছে ‘ঢাকা অ্যাটাক’ সিনেমার প্রযোজক সানী সানোয়ার ও পরিবেশক জাহিদ হাসান অভি। জুরি বোর্ডের দুই সদস্য মুশফিকুর রহমান গুলজার ও নিজামুল কবীর ওই চিঠি পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।

গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ২০১৭ সালের ‘ঢাকা অ্যাটাক’ চলচ্চিত্রের জন্য ‘সেরা সম্পাদক’ হিসেবে মো. কালামের নাম ঘোষণা করা হয়, যিনি একজন ভারতীয় নাগরিক। নিয়ম অনুযায়ী কেবল বাংলাদেশি নাগরিকরাই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হওয়ার কথা। সেখানে পুরস্কারজয়ীদের তালিকায় ভারতীয় নাগরিকের নাম আসায় সমালোচনা শুরু হয়।

জুরি বোর্ডের সদস্য গুলজার বৃহস্পতিবার বলেছিলেন- কালাম যে একজন বিদেশি সেটা তাদের জানাই ছিল না। প্রযোজক তার পরিচয় গোপন করেছে। সে বলেছে, সে বাংলাদেশের নাগরিক। যেহেতু সে বাংলাদেশের ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেছে সেহেতু আমরা ধরে নিয়েছি সে বাংলাদেশের নাগরিক’।

‘ঢাকা অ্যাটাক’ সিনেমার পরিবেশক জাহিদ হাসান অভি জানান, ‘ভুল তথ্য’ দেওয়ায় ক্ষমা চেয়ে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে তিনি চিঠি পাঠিয়েছেন জুরি বোর্ডর সদস্যদের কাছে। ভুল বশতঃ কালামের নামটি বাংলাদেশি হিসেবে পাঠিয়েছিলাম আমরা। বিষয়টি দৃষ্টিগোচরে আসার পর ক্ষমা চেয়ে চিঠিটি পাঠিয়েছি। চিঠিতে অভি লিখেছেন, ‘প্রযোজক স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নে ২০১৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ঢাকা অ্যাটাক’ চলচ্চিত্রটিতে মো. কালাম সম্পাদনার কাজ করেন, যিনি বাংলাদেশি নন। কিন্তু ভুল বশতঃ তার নাম লিপিবদ্ধ হয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৭ এর আবেদনে। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্যে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি’।

চলচ্চিত্রটির অন্যান্য ভারতীয় কলাকুশলীর ক্ষেত্রে তাদের সঠিক জাতীয়তা উল্লেখ করা হলেও কেবল সম্পাদনার ক্ষেত্রে ‘অসাবধানতা বশত’ ভুলটি হয়েছে বলে স্বীকার করেন অভি। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘শুধুমাত্র বাংলাদেশের ঢাকার ঠিকানা তার নামের পাশে থাকার কারণে এই ভুলের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আবারও আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি এবং এ জন্যে সার্বিক সহযোগিতা করবার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি’।

‘ঢাকা অ্যাটাক’ সিনেমার প্রযোজক সানী সানোয়ার এখন আছেন ঢাকার বাইরে। আজ (শুক্রবার) দুপুরে তিনিও জুরি বোর্ডকে ইমেইল করে ভুল স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘মুদ্রণ প্রমাদের কারণে ভুলে’ আরেকজন বাংলাদেশির ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছিল। জুরি বোর্ডের যে কোনো সিদ্ধান্ত তারা মেনে নেবেন।

এ বিষয়ে এখন কি সিদ্ধান্ত হবে জানতে চাইলে জুরি বোর্ডের সদস্য ও চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান নিজামুল কবীর বলেন, ‘সরকারি ছুটির পর সোমবার জুরিবোর্ডের সদস্যদের নিয়ে বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে’।