মানিকছড়িতে ধান সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন

মো. জাকির হোসেন, মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি >>>
পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায় উৎপাদিত বোরো ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে খাদ্য বিভাগ।  উপজেলার প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় সরকারের ধান ক্রয় অভিযানে কোনো রকম ঘাটতি হওয়ার আশংকা নেই বলে কৃষিবিদদের অভিমত।
আজ মঙ্গলবার (২ জুন) দুপুর সাড়ে ১২ টায় উপজেলা খাদ্য গুদামে অভ্যন্তরীণ বোরো ধান সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামান্না মাহমুদ।  এ সময় উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা শ্যামপ্রসাদ চাকমা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাজমুল ইসলাম মজুমদার এবং ওসিএলএসডি মো. শামীম উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা শ্যাম প্রসাদ চাকমা দৈনিক চট্টগ্রামকে জানান, এ বছর সরকারিভাবে প্রতি কেজি ধান ২৬ টাকা হারে প্রতি মণ ১ হাজার ৪০ টাকা দরে সরকার বোরো ধান ক্রয় করবে।  মানিকছড়ি-লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার একমাত্র এই খাদ্যগুদামে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার মানিকছড়ির কৃষক থেকে ১৩০ মেট্রিকটন এবং লক্ষ্মীছড়ির কৃষক থেকে ১১৪ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা হবে।
উল্লেখ্য যে, বোরো মৌসুমে মানিকছড়ি উপজেলার ৯৮০ হেক্টর জমিতে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। হেক্টর প্রতি সাড়ে ৪ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন ধরে শুধু মানিকছড়িতেই এবার ধান উৎপাদন হয়েছে ৪ হাজার ৪০০ মেট্রিক টনের অধিক। সরকারিভাবে মাত্র ১৩০ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হলে অবশিষ্ট ৪ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন ধান থেকে যাবে কৃষকের গোলায় বা আড়তে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাজমুল ইসলাম মজুমদার দৈনিক চট্টগ্রামকে বলেন, এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের পরিশ্রম ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতার ফসল। ধান উৎপাদনে এবার আমরা সরকারের লক্ষ্যমাত্র অর্জন করতে পেরেছি। এখন অপেক্ষা কৃষক যাতে তাদের উৎপাদিত ধান সহজে এবং ন্যায্যমূল্যে বাজারজাত করতে পারে সেটি নিশ্চিত করা।
বোরো ধান সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধনকালে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব তাই কৃষকের দিকে লক্ষ্য রেখে বোরো ধান ক্রয়ে কোনো রকম হেরফের সহ্য করবে না।  মধ্যস্বত্বভোগি কেউই কৃষকের অধিকারে যাতে হস্তক্ষেপ করতে না পারে সেদিকে আমরা নজরদারী করছি।

ডিসি/এসআইকে/এমজেএইচ