গরু বিক্রি করতে না পেরে হতাশ খামারি-ব্যবসায়ীরা

আরিফুল ইসলাম মহিন, পানছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি >>>
কোরবানির ঈদ ঘনিয়ে আসলেও গরু-ছাগলের ক্রয়-বিক্রয়ের আমেজ এখনো শুরু হয়নি।  পার্বত্যজেলা খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার পানছড়ি বাজারে গরু-ছাগলের কমতি না থাকলেও ক্রেতার উপস্থিতি কম।  এতে খামারি-ব্যবসায়ী ও ইজারাদারের কপালে হতাশার চিহ্ন দেখা যায়।
গরুর খামারি মো. আব্দুল মালেক মির্জা দৈনিক চট্টগ্রামকে জানান, তার ছোট-বড় দশটি গরু বিক্রির জন্য আছে।  এখনো বিক্রি করতে পারেননি।  বিশেষ করে ফ্রিজিয়ান জাতের ১১০০ কেজির কালাচাঁদকে কোনো হাটে নিতে না পেরে হতাশায় আছেন।  কালাচাঁদ লম্বায় ১০ ফুট; উচ্চতায় প্রায় ৬ ফুট।  করোনা ভাইরাসের কারণে ঈদ উপলক্ষে সমতলের ব্যবসায়ীরা না আসায় বাজারে চাহিদা কম।  তবে তিনি আশা ছাড়েননি জানিয়ে বলেন, এখনো ঈদের অনেক দেরি।  সমতলের শিল্পপতিদের থেকে কেউ না কেউ তার ১১০০ কেজির কালাচাঁদকে কিনে নেবেন।
পানছড়ি বাজার ইজারাদারের হিসাব মতে, গত একমাসে ১০০টি গরুও বিক্রি হয়নি।
গরু ব্যবসায়ী আব্দুল হক, ওয়াহেদ মিয়া, রঙ্গু মিয়া জানান, বাজারে স্থানীয় ক্রেতা কম।  অনেকেই গরু বিক্রি করতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়েছেন।  আবার অনেকের টাকার চাহিদা থাকায় কম দামে গরু বিক্রি করে দিয়েছেন।  এছাড়াও সমতলের ব্যাপারীরা না আসায় চাষীসহ আমরা ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে আছি।

ডিসি/এসআইকে/এআইএম