মানিকছড়িতে পশুরহাটে করোনার ছোবল

মো. জাকির হোসেন, মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি >>>
করোনা মহামারির সাথে হঠাৎ করে ক্রেতাশূন্য ঈদ-উল আযহার বাজার যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে উঠেছে।  বিশেষত পার্বত্যজেলা খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার গরুর খামারিদের মাঝে এই ছোবল মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে।  মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে তাই এখন বিপাকে পড়েছেন মানিকছড়ি উপজেলার গরুর খামারিরা।
করোনার প্রভাবে যেখানে নিজেদের আয়-রোজগার কমে গেছে, তার উপর পশু বিক্রি করতে না পারায় নিজেদের খাবারের পাশাপাশি গরুর খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে খামারিদের।
কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এ বছরও দেশীয় খামারে পশুগুলোকে লালন-পালন করে লাভের আশায় ছিলেন খামারিরা।  মাহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে এবার তাদের লোকসানের বোঝা বইতে হবে বলে আতঙ্কে রয়েছেন তারা।  বর্তমান পরিস্থিতিতে গরুর সঠিক দাম না পাওয়ারও আশঙ্কা করছেন খামার মালিকরা।
এদিকে কোরবানি উপলক্ষে গরু-ছাগলের লালন-পালন করলেও বিগত বছরগুলোর এ সময়ে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীরা এসে বিভিন্ন হাট থেকে গরু কিনে নিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করতেন।  কিন্তু এ বছর মহামারি করোনার কারণে বাইরে থেকে কোনো ব্যবসায়ীদের দেখা মেলেনি।  তাই খামারিরা এসব গরুতে তেমন দাম পাচ্ছেন না।  ফলে ক্ষতির আশঙ্কায় আছেন তারা।
জানা গেছে, উপজেলার ছোট-বড় অনেক খামার রয়েছে। উন্নতজাতের অল্পবয়সী গরু কিনে মোটাতাজা করার জন্য ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত লালন-পালন করে আসছেন খামারিরা।  তিনটহরী ইউনিয়নের গরু খামারি মো. জয়নাল দৈনিক চট্টগ্রামকে জানান, এমন অবস্থা থাকলে আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াব? খামারিদের প্রতি নজর দিতে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

ডিসি/এসআইকে/এমজেএইচ