মুহাম্মদ জুয়েল, বোয়ালখালী প্রতিনিধি >>>
কোরবানির দিন যত ঘনিয়ে আসছে কামারদের ব্যস্ততা ততই বাড়ছে। একদিকে হাপরে আগুনের শিখা; অন্যদিকে হাতুড়ি পেটানোর টুংটাং শব্দে তৈরি হচ্ছে দা, বঁটি, ছুরি, চাপাতি। তবে গত বছরের তুলনায় এবার বাজার বেশি ভালো নয় বলে জানান বোয়ালখালীর কামাররা। বছরের ১১ মাস কাজ না থাকায় কোরবানির ঈদে আয় বাড়াতে শত চেষ্টা কামারদের। করোনার কারণে উপজেলায় তেমন নেই পশু ক্রেতা-বিক্রেতার আনাগোনা। তাই এই বছর ছুরি, চাপাতি, বঁটি বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় কারিগররা।
কালাইয়ার হাটের কামার অজিৎ কর বলেন, গত বছরের তুলনায় অর্ধেক কাজ এবার আসতেছে না। এখন আসতেছে অল্প অল্প। খুব কমই কাজ দেখা যাচ্ছে। নতুন কাজ একদম নাই। যা অল্প নতুন বানিয়েছি তা রয়ে গেছে।
কারিগর রতন কর জানান, আগে মত কোনো কাজ-কাম নাই। টুকটাক কয়েকটা কাজ আছে।
শ্রীপুর মুন্সির হাটের কামার রণ প্রসাদ কর্মকার বলেন, লকডাউনের মধ্যে ব্যবসা হচ্ছে না। এই ঈদে করোনার কারণে বেশী বিক্রি হবে বলে মনে হয় না।
করোনা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বোয়ালখালী প্রতিটি কামারের দোকানে। অন্যান্য বছর কোরবানির ঈদের প্রায় এক মাস আগে থেকে এসব জায়গা থাকত জমজমাট। এবার নেই সেই আমেজ। কারিগররা জানান, করোনার কারণে লোহা, কাঠ, কয়লাসহ বিভিন্ন উপকরণের দাম বেশি হওয়ায় জিনিস তৈরির খরচ বেড়েছে। এতে বেড়েছে দামও। তাই নতুন না কিনে পুরাতন দা, ছুরি, চাপাতি ধার করাচ্ছে লোকজন।
তবে এবার পশু কোরবানি কম হলে চাহিদা থাকবে কম। ফলে ব্যবসায় মূল মৌসুমেও লাভের মুখ দেখবেন না বলে ধারণা করছেন কামাররা।
ডিসি/এসআইকে/এমজে