মুহাম্মদ জুয়েল, বোয়ালখালী প্রতিনিধি >>>
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। একেবারে শেষ মুহুর্তে এসে হাটে ক্রেতাদের ভিড়ও বেড়েছে। ভারত মিয়ানমারের গরুর চেয়ে বাজারে দেশীয় গরুর সংখ্যাই বেশি। এবার পশুর দাম নিয়ে সন্তুষ্ট ক্রেতা-বিক্রেতারাও। কিন্তু পর্যাপ্ত মহিষ থাকলেও ক্রেতা না পাওয়ায় চিন্তায় পড়েছেন মহিষ বিক্রেতারা।
উপজেলার শাকপুরা, হাজিরহাটসহ মুরাদ মুন্সিরহাটের কোরবানির পশুর হাটে মুখে মাস্ক পড়ে এবং হাতে স্যানিটাইজার দিয়েই হাটে ক্রেতাদের প্রবেশ বাধ্যতামূলক করেছে বোয়ালখালী প্রশাসন। তাই মাস্ক পড়েই ক্রেতারা ছুটছেন হাটে। দেশী গরুর চাহিদা একটু বেশী। এছাড়াও হাটে ক্রেতাদের লাল রঙের গরুর দিকেই ঝুঁকতে দেখা যায়। আবার একটু কম দামের আশায় কেউ আবার ঘুরে ফিরে দেখছেন পছন্দের গরু। আবার শেষ সময়ে আরো দাম কমবে কিনা তার অপেক্ষায়ও রয়েছেন কেউ কেউ। অন্যদিকে ছাগল, ভেড়ার বাজারে রয়েছে মানুষের ভিড়।
ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শাকপুরা ও হাজিরহাট বাজারের চাইতে মুরাদ মুন্সিরহাটে গরু দাম একটু বেশী। এবার কোরবানির পশু বড় বড় আর সুন্দরও বেশি।
বিক্রেতারা জানান, বাজারে পশু পর্যাপ্ত থাকায় পরিমাণের চেয়ে কম লাভে বিক্রি করতে হচ্ছে। তারপরও পশু বিক্রি করতে পেরে আনন্দ লাগছে।
ইজারাদাররা বলছেন, হাটে গরুর সংকট নেই। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানির পশুর হাট করা খুব কঠিন। তবুও চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই।
ডিসি/এসআইকে/এমজে