মানিকছড়ি প্রাণী সম্পদ অফিসে জনবল ও আবাসিক সংকটে সেবা কার্যক্রম ব্যাহত

মো. জাকির হোসেন, মানিকছড়ি প্রতিনিধি >>>
কৃষিনির্ভর জনপদ পার্বত্যজেলা খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় বিগত যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি মানুষ এখন ডেইরী ও পোল্ট্রি শিল্পে জড়িয়ে পড়ছেন।  কিন্তু সে তুলনায় উপজেলার প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর চিকিৎসা সেবা দিতে হিশশিম খাচ্ছে।  জনবল ও আবাসিক সংকটে জর্জরিত প্রাণী সম্পদ অফিসে ছোট-বড় ১০ জন জনবলের পদ থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র ৪ জন।  এই স্বল্প সংখ্যক জনবল দিয়ে উপজেলার সহস্রাধিক পোল্ট্রি ও দেড় শতাধিক ডেইরী খামার এবং কৃষিনির্ভর জনপদের ঘরে ঘরে পালিত গবাদি পশু’র চিকিৎসায় ৩.৩৩ একর টিলা ভূমিতে বাঁশের বেড়া ও টিনের ছাউনিবিশিষ্ট ৩ কক্ষের ঘরে আধুনিক সেবা দেয়া সত্যিই কষ্টকর ও বেদনাদায়ক।  ফলে কাঙ্খিত সেবা না পেয়ে ডেইরী ও পোল্ট্রি ব্যবসায় জড়িত কয়েক হাজার ক্ষুদ্র, মাঝারী ও বড় খামারীরা উৎসাহ হারাচ্ছে।
স্থানীয় ক্ষুদ্র খামারী মো. আবুল কালাম বলেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসে মাত্র দুই জন ডাক্তারের পক্ষে পুরো উপজেলার ডেইরী ও পোল্ট্রি খামারীদের দৌড়গোড়ায় গিয়ে সেবা দেয়া সম্ভব নয়।  খামারে গেলে অফিস খালী থাকে।  ফলে দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজন ভোগান্তিতে পড়তে হয়।  জনবল সংকট ও সেই মান্ধাতামলের কুঁড়ে ঘরে (বাঁশের বেড়া-টিনের ছাউনি) বসে আধুনিক চিকিৎসা দেয়া- এ যেন হাত-পা বেঁধে সাতার কাটার শামিল।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুচয়ন চৌধুরী বলেন, উপজেলার ছোট-বড় দেড় শতাধিক ডেইরী ও সহস্রাধিক পোল্ট্রি খামার সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদের পাশে থেকে শতভাগ সেবা নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।  জনবল এবং আবাসিক সংকট নিরসনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করা হয়েছে।

ডিসি/এসআইকে/এমজেএইচ