মো. জাকির হোসেন, মানিকছড়ি প্রতিনিধি >>>
পার্বত্যজেলা খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় ডেইরী ও পোল্ট্রি খামারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যাপক প্রসার ঘটছে এই শিল্পের। উপজেলায় প্রায় দুই’শ ডেইরি ও পোল্ট্রি খামার রয়েছে। এসব খামারে দেশি-বিদেশি গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগী, টার্কি, কোয়েল, তিতির, ঘাড়ল, বেইজিং হাঁস, টাইগার মোরগ ইত্যাদি প্রজাতির পশু-পাখি লালন-পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেকে।
এই শিল্প গড়ে তোলার মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক বেকার মানুষেরও কর্মসংস্থান হচ্ছে। অনেক শিক্ষিত বেকার যুবক চাকুরির পেছনে সময় নষ্ট না করে গড়ে তুলছেন ছোট-বড় খামার। মাংস, দুধ ও ডিম এলাকার চাহিদা মিটিয়ে পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। এতে করে আয় হচ্ছে অনেক টাকা। এর সিংহ ভাগ আসে মাংস বিক্রি করে।
উপজেলার গচ্ছাবিল মৃধা টার্কি ফার্মের মালিক মো. জামাল উদ্দিন মৃধা দৈনিক চট্টগ্রামকে জানান, আমি সর্ব প্রথম দুইটা টার্কি দিয়ে খামার শুরু করি। এখন প্রায় তিন হাজারের কাছাকাছি বিভিন্ন জাতের দেশি-বিদেশি পশু-পাখি আছে আমার খামারে। এগুলো থেকে আমি প্রতিদিন বেশ ভালো আয় করি।
মানিকছড়ি উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুচায়ন চৌধুরী দৈনিক চট্টগ্রামকে বলেন, মানিকছড়িতে এখন অনেক ভালো মানের খামারি আছে। যারা খামার করে নিজেরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন এবং এলাকার অনেক বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছেন। আমরা চেষ্টা করছি তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়ার। যারা আমাদের কাছে আসছেন তাদেরকে আমরা সরকারি সেবার আওতায় আনছি। যেখানে খবর পাচ্ছি সেখানে গিয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা দিচ্ছি।
ডিসি/এসআইকে/এমজেএই্চ