২ কোটি টাকার রঙিন পাথরের কোনো দাবিদার নেই, পড়ে আছে চট্টগ্রাম বন্দরে

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
৪০৫ টন ওজনের পাথরে ভর্তি ১৫টি কনটেইনার পড়ে আছে চট্টগ্রাম বন্দরে।  এসব পাথর হাতের আংটি, ইমিটেশনের গহনা ও অলংকার তৈরিতে ব্যবহার হয়।  রঙিন এসব পাথরের কোনো দাবিদার নেই।  নিলাম ডেকেও এসব পাথর কাউকে গছানো যাচ্ছে না।  দেখারও যেন কেউই নেই।
জানা যায়, প্রতি কেজি রঙিন পাথরের মূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪১ টাকা।  এ হিসেবে বন্দরে পড়ে থাকা এসব পাথরের দাম দুই কোটি টাকারও বেশি।
চলতি বছরের শুরুর দিকে কাস্টমসের নিলাম শাখা পাথরগুলো নিলামে তোলে।  কিন্তু কোনো বিডারের কাছ থেকে কোনো দরপত্রই পাওয়া যায়নি।  চট্টগ্রাম কাস্টমস নিলাম শাখার ডিসি মোহাম্মদ ফয়সাল বিন রহমান বলেন, এ বছরের শুরুতে ডাইঅপসাইডের একটি লট নিলামে তোলা হয়েছিল।  নিয়ম অনুযায়ী নিলামে ওঠা যে কোনো পণ্য দেখে দরপত্র দাখিল করতে পারেন বিডাররা।  কিন্তু ডাইঅপসাইডের ওই লটটিতে মাত্র ১ শতাংশ মূল্য পড়ায় আমরা খালাস দিতে পারিনি।  তিনি বলেন, এগুলো দামি পাথর।  অলংকারে ব্যবহার হয় পাথরগুলো।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ৪০৫ টন ওজনের এসব পাথরের আমদানিকারক কে তার যেমন হদিস পাওয়া যায়নি, তেমনি এর কোনো সিএন্ডএফ এজেন্টের খোঁজও মেলেনি।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম বলেন, ডাইঅপসাইড হচ্ছে এক ধরনের পাথর, যা বিভিন্ন অলংকারে ব্যবহার হয়ে থাকে।  কিন্তু বন্দরে পড়ে থাকা ওই পাথর কী কাজে ব্যবহারের জন্য আনা হয়েছে তা চট্টগ্রাম কাস্টমসের ইনভেন্ট্রিতে উল্লেখ নেই।
চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারকারী আমদানিকারক এসএম শামীম আহমেদ বলেন, এ ধরনের অনেক পণ্য বন্দরে পড়ে আছে বছরের পর বছর।  কিন্তু অনেক ব্যবসায়ী এসব পণ্য ছাড় না নেয়ায় সেগুলো নিলামে চলে যায়।  আমদানিকারক বাজারমূল্য কম পাওয়ায় হয়তো খালাস করেনি।

ডিসি/এসআইকে/এমএনইউ