টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু

কক্সবাজার প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে।  শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) সকালে কেয়ারি সিন্দাবাদ ও ফারহান ক্রুজ নামে দুটি জাহাজ যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।  দীর্ঘ আট মাস পর এই রুটে জাহাজ চলাচল শুরু হলো।  প্রতিটি জাহাজে শতাধিক পর্যটক রাত্রিযাপনের উদ্দেশ্যে সেন্টমার্টিন রয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।  বাকি পর্যটকদের নিয়ে জাহাজ দুটি সন্ধ্যা ৬ টার দিকে আবার টেকনাফের দমদমিয়া ঘাটে ফিরেছে।  কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজের টেকনাফের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, সামনে পর্যটন মৌসুম। ফলে করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসন। কাগজপত্র যাচাই-বাচাই করে কেয়ারি সিন্দাবাদ ও ফারহান ক্রুজকে অনুমতি দেয়ার পর শুক্রবার সকালে টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট থেকে পর্যটকবোঝাই করে সেন্টমার্টিনে যায় জাহাজ দুটি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চট্টগ্রাম বিভাগের উপপরিচালক নয়ন শীল বলেন, চলতি মৌসুমে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে চলাচলের জন্য দুটি জাহাজে অনুমতি চেয়েছে।  তার মধ্যে কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজকে গত ১ অক্টোবর থেকে ১২ ডিসেম্বর এবং ফারহান ক্রুজ জাহাজকে ৪ নভেম্বর থেকে আগামি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে।  অনুমতি পেয়েও হয়তো অভ্যন্তরীণ কারণে এতদিন জাহাজগুলো চলাচল করেনি।
কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজের টেকনাফের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, জেলা প্রশাসকের ছাড়পত্র পেয়ে শুক্রবার থেকে জাহাজ চলাচল শুরু করেছি।  যদিও এর আগে বিআইডব্লিউটিএ ও নৌপরিবহন দফতরের ছাড়পত্র পাই আমরা।  করোনা পরিস্থিতির ওপর দৃষ্টি রেখে সেন্টমার্টিনে পর্যটক আনা-নেয়া চালু থাকবে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, আগস্ট থেকে সরাসরি কক্সবাজার থেকে কর্ণফূলী নামে একটি জাহাজ সেন্টমার্টিনে চলাচল করছে।  এতে দ্বীপে তেমন সাড়া পড়েনি।  টেকনাফ থেকে জাহাজ ছাড়ার খবরে পর্যটন ব্যবসায়ীরা তাদের আবাসিক হোটেল ও কটেজগুলো সাজিয়ে রেখেছিলেন। জাহাজ চলাচলের খবরে দ্বীপের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে।  দীর্ঘ আট মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর চলতি মৌসুমে নতুন করে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয়ায় সবার মাঝে স্বস্তি ফিরেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ডিসি/এসআইকে/এফআর