জাহাজ ভাঙা শিল্প : বিশ্বের শীর্ষ স্থানে বাংলাদেশ

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
জাহাজ রিসাইকেল বা পুনর্ব্যবহার উপযোগী করা করার ক্ষেতে (জাহাজ ভাঙা শিল্প) আবারো বিশ্বের শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ।  গত বছর বিশ্বের অর্ধেকের বেশি জাহাজ বাংলাদেশে রিসাইকেল করা হয়েছে।  গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা আঙ্কটাড -এর ‘রিভিউ অব ম্যারিটাইম ট্রান্সপোর্ট ২০২০’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।  শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) তথ্যটি সংবাদ মাধ্যমে স্থান পায়।
এ শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের তথ্য মতে, একটি জাহাজ ভেঙে টুকরো টুকরো করে সব সরঞ্জাম পুনর্ব্যবহার উপযোগী করাই হচ্ছে রিসাইকেল।  আর এ কাজটিই বিশ্বব্যাপী জাহাজ ভাঙা শিল্প নামে পরিচিত।  আঙ্কটাড জানায়, জাহাজ ভাঙা শিল্পে বাংলাদেশের পরের অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে ভারত ও তুরস্ক।  আর এ তিন দেশ মিলে গত বছর বিশ্বের ৯০ দশমিক ৩ শতাংশ জাহাজ রিসাইকেল করেছে।
২০১৮ সালেও এ শিল্পে বিশ্বের শীর্ষ অবস্থান ছিল বাংলাদেশের।  সে বছর যত জাহাজ ভাঙা হয়, তার ৪৭ দশমিক ২ শতাংশই ছিল বাংলাদেশে।
এদিকে ‘রিভিউ অব ম্যারিটাইম ট্রান্সপোর্ট ২০২০’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালে বিশ্বের ৫৪ দশমিক ৭ শতাংশ জাহাজ রিসাইকেল করে বাংলাদেশ।  ভারত ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ ও ৯ শতাংশ রিসাইকেল করে তুরস্ক।
আর চতুর্থ স্থানে থাকা চীন রিসাইকেল করে ৩ দশমিক ১ শতাংশ এবং পঞ্চম স্থানে থাকা পাকিস্তান রিসাইকেল করে ২ দশমিক ২ শতাংশ। বাকিরা রিসাইকেল করে মাত্র ৪ দশমিক ৪ শতাংশ।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে ২০১৭ সালের চেয়ে ২০১৮ সালে জাহাজ রিসাইকেল বা ভেঙে পুনর্ব্যবহার উপযোগী করার পরিমাণ ২৯ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে।  তবে ২০১৯ সালে এসে তা আগের বছরের চেয়ে ২২ দশমিক ৭ শতাংশ কমে যায়।

উল্লেখ্য যে, জাহাজ ভাঙা শিল্পের প্রায় শতভাগ ইয়ার্ড বন্দর নগরী চট্টগ্রামে অবস্থিত। বন্দর আর জাহাজ ভাঙা শিল্পের কারণে চট্টগ্রামকে বলা হয় দেশের অর্থনৈতিক হৃদপিন্ড।

ডিসি/এসআইকে/আরআর