চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
দেশের অন্যতম প্রধান নদী মেঘনার চরে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি নিয়েছে জাপান-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ব্লু রিভার আইল্যান্ড রিসোর্ট অ্যান্ড ট্যুরিজম ক্লাব লিমিটেড। এই প্রকল্পের জন্য জায়গার প্রয়োজন হবে ৬০০ একর। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৬ হাজার কোটি টাকা। আর এর জন্যে উপযুক্ত জায়গা হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে চাঁদপুর সদর উপজেলার কল্যাণপুর ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন মৌজার দাসাদী সংলগ্ন মেঘনা নদীর তিনটি চরকে।
গতকাল সোমবার দাসাদী সংলগ্ন মেঘনার তীরে প্রায় ২৮০ একর জায়গা নিয়ে জেগে ওঠা চরে প্রকল্প পরিচিতি সভা হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রকল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ছাড়াও জনপ্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। প্রকল্প পরিচিতি তুলে ধরেন ব্লু রিভার আইল্যান্ড রিসোর্ট অ্যান্ড ট্যুরিজম ক্লাবের পরিচালক রাজিব আহমেদ।
পর্যটন কেন্দ্রটিতে সুবিধা হিসেবে থাকবে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের জাদুঘর, পানির ওপর ভাসমান কটেজ, ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ক্যাবল কার, ট্র্যাডিশনাল কটেজ, স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট, পাঁচ তারকা হোটেল, থিম পার্ক, রিভার ক্রুজ, স্পিড বোট, হেলিকপ্টার, কনভেনশন হল, থিয়েটার, মিউজিয়াম, ইন্টারন্যাশনাল এক্সপোর্ট সেন্টার, মার্কেট, জিমনেসিয়াম, ইনডোর ও আউটডোর গেমস, ক্রিকেট অ্যারিনা, সুইমিং ক্লাব, ওয়াটার রাইড, হসপিটাল, পার্টি সেন্টার, হলি কর্নার, রিসার্চ ইনস্টিটিউট, স্টাফ রেসিডেন্সিয়াল এরিয়া, এগ্রি ট্যুরিজম, গ্রিন এনার্জি, পর্যটন ডিপ্লোমা কোর্স স্কুল প্রভৃতি।
ব্লু রিভার আইল্যান্ড রিসোর্ট অ্যান্ড ট্যুরিজম ক্লাবের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সাগর মাহমুদ বলেন, এই পর্যটন কেন্দ্রে প্রতিদিন লক্ষাধিক লোকের ভ্রমণের ব্যবস্থা ও ২০ হাজার পর্যটকের রাতযাপনের সুবিধা থাকবে। প্রায় ৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে তিনটি ধাপে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রথম ধাপে ২৬৫ একর, দ্বিতীয় ধাপে ২১০ একর ও শেষ ধাপে ১২৫ একর জমি প্রয়োজন হবে।
সভায় বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল, ব্লু রিভার আইল্যান্ড রিসোর্ট অ্যান্ড ট্যুরিজম ক্লাব লিমিটেড এবং জাপান ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল-এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসাইন, অধ্যক্ষ অধ্যাপক অসিত বরণ দাশ, অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, সাংবাদিক কাজী শাহাদাত, গোলাম কিবরিয়া জীবন, এএইচএম আহসান উল্লাহ প্রমুখ।
ডিসি/এসআইকে/এমএসবি