বসন্তের আগমনে আমের মুকুল ছড়াচ্ছে ঘ্রাণ

এম. জুবাইদ, পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি >>>
শীতের ভরা মৌসুমে বসন্তের শুরুতে গাছে গাছে আমের মুকুল ছড়াচ্ছে ঘ্রাণ।  এবারে কক্সবাজারের পেকুয়ার বিভিন্ন জায়গায় বিপুল পরিমাণে আমের মুকুলের সমারোহ ঘটছে।  মুকুলের ভাড়ে গাছের ডাল-পালা ন্যূয়ে পড়ছে।  ছোট-বড় গাছগুলোতে আসতে শুরু করেছে মুকুল।  যে পরিমাণ মুকুল আসছে, অনেকে মনে করছেন- এবার আমের ফলন বেশী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার পেকুয়া সদর, শিলখালী, বারবাকিয়া, পাহাড়ি এলাকা টইটং, সকস ইউনিয়নসহ অন্যন্য গ্রামগুলোতে মুকুলে ছেয়ে গেছে আমগাছ গুলো।  হলুদ বর্ণের মুকুল সূর্যের সোনালী আলোয় যেনো অপরূপ রঙ ছড়াচ্ছে।  মুকুলের সমারোহ দেখে বাড়ির লোকজনের আনন্দ বইছে।  অনেকেই মুকুল রক্ষা করার জন্য কৃষি অফিসে গিয়ে কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিচ্ছে।  আবার কেউ কেউ গাছের যত্নে মনোযোগী হয়ে উঠছেন।  আমের মুকুল আসছে- তাই এখন মৌমাছির গুঞ্জনও বেড়েছে।  মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ যেন জাদুর মতো কাছে টানছে তাদের।  গাছের প্রতিটি শাখা-প্রশাখা ভ্রমরের ঘ্রাণে ব্যঞ্জনা ছড়াচ্ছে।  শীতে এই ঘ্রান অপরূপ পরিবেশের শোভা ছড়াচ্ছে।  স্বর্ণালি মুকুল, বছর ঘুরে আবারও তাই ব্যাকুল হয়ে উঠছে আমপ্রেমীদের মন।
বেশ কয়েকজন বাগান মালিক দৈনিক চট্টগ্রামকে জানান, বর্তমানে আবওহায়া অনুকূলে রয়েছে।  সপ্তাহেখানেক আগে থেকে বাগানের আম গাছে মুকুল আসা শুরু করেছে।  মুকুল আসার পর থেকে গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছি এবং কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ নিয়ে বালাইনাশক স্প্রে করছি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আম গাছে রোগ হলে টিএসপি ও এমপি সার দিতে হবে।  দুই-তিন বছর বয়সের গাছে ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম, চার-পাঁচ বছর বয়সের গাছে ৩০০ থেকে ৩৫০ গ্রাম, ছয়-সাত বছর বয়সের গাছে ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম, আট-নয় বছর বয়সের গাছে ৫০০ থেকে ৮০০ গ্রাম এবং ১০ বছরের ঊর্ধ্বে ৮৫০ থেকে এক হাজার ২০০ গ্রাম প্রতি গাছে এগুলো ব্যবহার করতে হবে।  ফুল ফোটার সময় মেঘলা ও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকলে পুষ্পমঞ্জরিতে পাউডারি মিলডিউ ও অ্যানত্রাকনোজ রোগের আক্রমণ হতে পারে।  তাই রিপকর্ড এবং কেবিএস জয় ব্যবহার করতে পারে।
উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার সাইদুল ইসলাম দৈনিক চট্টগ্রামকে জানান, মুকুল আসার পর নিয়মিত পানি ও অন্যান্য পরিচার্যা করতে হবে।  এ সময় বাগানে হপার এবং ফুদকী পোকাগুলো গাছের বাকলে লুকিয়ে থাকে।  এ ধরনের পোকা খুব বেশী দেখা দিলে কীটনাশক স্প্রে করতে হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার তপন কুমার রায় দৈনিক চট্টগ্রামকে জানান, মুকুলের যথাযথ পরিচর্যা না করলে মুকুল ঝরে পড়ে আমের ফলনে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।  আম গাছে ফুল আসার ১৫ দিন আগে পর্যাপ্ত সেচ দিতে হবে।  ফুল ফোটার সময় মেঘলা ও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকলে বিভিন্ন রোগের আক্রমণ হতে পারে।

ডিসি/এসআইকে/এমজে