ইলিশ ধরা শুরু শনিবার, ব্যাপক প্রস্তুতি জেলেদের

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ইলিশ ধরা শুরু হচ্ছে।  টানা দুই মাস পর আগামিকাল শনিবার (৩০ এপিল) রাত ১২ টার পর থেকে শুরু হচ্ছে ইলিশ ধরা।  ইলিশ ধরাকে কেন্দ্র করে ব্যাপকভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন জেলেরাও।  ঘাটের পাড়ে জাল এবং নৌকা ঠিক করায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।  শনিবার রাত থেকে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে কর্মব্যস্ত হয়ে পড়বেন বেকার জেলেরা।
এতোদিন যেসব আড়তে ছিল সুনশান নিরবতা সেইসব আড়ত জেলে, মৎস্যজীবী ও আড়তদারদের হাঁকডাকে মুখরিত হয়ে উঠবে।  মাছ ধরে বিগত দিনের ধার-দেনা শোধ করে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে আশাবাদী জেলেরা।
ভোলা সদরের ইলিশা, তুলাতলী, ভোলার খাল, নাছির মাঝিসহ বিভিন্ন ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, ইলিশ ধরার জন্য জেলেরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন।  শনিবার মধ্যরাত থেকে মাছ ধরা শুরু, তাই ঘাটে ঘাটে দেখা যাচ্ছে প্রস্তুতি।  কেউ জাল বুনছেন কেউ নৌকায় রং দিচ্ছেন কেউবা ট্রলার-নৌকা মেরামত করছেন।  নতুন উদ্যামে ফের নদীতে নামার প্রস্তুতি উপকূলের জেলেদের।
দুই মাস বেকার সময় পার করার পর ইলিশ ধরার উৎসবে মেতে উঠবেন এমন স্বপ্ন তাদের চোখ-মুখে।  মেঘনা-তেঁতুলিয়া আহরিত সেই মাছ বিক্রি করে সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে আশাবাদী তারা।
জেলে রহিম, বশির ও মহিউদ্দিন জানান, এতোদিন মাছ ধরা বন্ধ ছিল, তাই নদীতে যাইনি।  এখন মাছ ধরা শুরু হচ্ছে।  আমরা নদীতে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছি।  ভোলার খাল ঘাটে নৌকার ইঞ্জিন মেরামত করছিলেন।  তারা জানালেন, মাছ ধরা শুরু হবে তাই ইঞ্জিন ঠিক করছি।  কেউ আবার জাল প্রস্তুত করছেন।  মাছ ধরা বন্ধ থাকায় এতোদিন আড়তে ছিল সুনশান নিরবতা, সেইসব আড়তে জেলে, মৎস্যজীবী ও আড়তদারদের হাঁকডাকে মুখরিত হয়ে উঠবে।
অভিযান সফল হওয়ায় নদীতে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে বলে মনে করছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম আজহারুল ইসলাম।  তিনি বলেন, মাছ ধরতে এখন আর বাধা নেই।  জেলেরা উৎসবমুখর পরিবেশে মাছ ধরতে নেমে পড়বেন।  আমরা আশা করছি এবার ইলিশের উৎপাদন বাড়বে।
ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ ধরার বন্ধ ছিল।  এ সময় ৯৩ হাজার নিবন্ধিত জেলেকে পুনর্বাসনের চাল দেওয়া হয়।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ