দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বিপাকে পড়েছেন বান্দরবানের হোটেল-রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা। এতে বাধ্য হয়ে খাবারের দাম বাড়ানোর কথা ভাবছেন তারা। সোমবার (১৫ আগস্ট) জেলার হোটেল-রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।
হোটেল-রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়েছে। এ কারণে হোটেলের জন্য বাজার করতে তাদের অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হচ্ছে। গত কয়েক মাসে প্রায় অর্ধেক বেড়েছে মাছ, ডিম ও সবজির দাম। তবে দ্রব্যের দাম বাড়লেও জেলা সদর এলাকায় বাড়ানো হয়নি হোটেলের খাবার মূল্য। ফলে অনেকটা ক্ষতিকর মুখে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তাই এবার তারা বাধ্য হয়ে খাবারের দাম বাড়ানোর কথা ভাবছেন।
বান্দরবান মেঘলা এলাকার হোটেল তাজমহলের মালিক মো. সাইফুউদ্দীন জানান, মূলত পর্যটকনির্ভর তাদের এই হোটেল ব্যবসা। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর থেকে পর্যটক তেমন নেই বললেই চলে। এরই মধ্যে হোটেল চালাতে প্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম বাড়ছে কিন্তু খাবারের দাম বাড়ানো হয়নি। এভাবে চলতে থাকলে তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখা কষ্টকর হয়ে পড়বে।
বান্দরবান পর্যটন মোটেলের সহকারী ব্যবস্থাপক সূর্যসেন ত্রিপুরা বলেন, যে হারে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে তাতে রেস্তরাঁ চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আগে এক পিস ডিমের দাম ছিল ১০ টাকার কম। রবিবার তা সাড়ে ১২ টাকায় কিনতে হয়েছে। এরকম সবকিছুই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। কিন্তু খাবারের দাম বাড়াতে পারছি না। আলোচনা চলছে, খাবারের দাম বাড়ানোর। নিরুপায় হয়ে আগামীতে দাম বাড়াতে হবে। নয়তো ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
বান্দরবান হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বলেন, দিনদিন যেভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে তাতে হোটেল-রেস্তোরাঁ পরিচালনা করতে মালিকদের ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। তবুও জেলা সদর এলাকার হোটেল-রেস্তরাঁয় খাবারের দাম বাড়ানো হয়নি। বর্ধিত ব্যয় অনুযায়ী ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে আনতে সমিতির আলোচনা সাপেক্ষে খাবারে দাম বাড়ানো হবে। তিনি আরও বলেন, রেস্তোরাঁ ব্যবসায় অন্যান্য উপাদানের মধ্যে আটাও একটি। প্রতি বস্তা আটাতে বেড়েছে ২৫০ টাকা। এরকম সবকিছুর দাম বেড়েছে। তাই বাধ্য হয়ে খাবারের দামও বাড়াতে হবে। ভবিষ্যতে দ্রব্যের দাম কমলে খাবারের দামও কমানো হবে।
ডিসি/এসআইকে/এমএসএ