করোনা মহামারিতে বিপুল সংখ্যক যুবসমাজ ক্ষতিগ্রস্ত : মিজানুর রহমান

রোকসানা আকতার রুনা, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মাদ মিজানুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশে বর্তমানে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেণ্ট চলছে।  যেখানে ৬০% জনসংখ্যা হলো যুবসমাজ। তাদের বিপুল সংখ্যক অংশ করোনাসহ নানা মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বেকার হয়ে গেছে।  তাদের জন্য উপযুক্ত ও সম্মানজনক চাকরির ব্যবস্থা করা অর্থাৎ তাদের পুনর্বাসন করা আমাদের সবার নৈতিক দায়িত্ব।  তিনি আরও বলেন, শুধু পুঁজি ও ব্যবসায়িক চিন্তা করলে হবে না।  বিক্রয়কর্মীদের অধিকার বাস্তবায়নেও কঠোরভাবে নজর দিতে হবে।  আর সরকারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা ও ভূমিকাও রাখতে হবে।
সোমবার (২২ আগস্ট) নগরের হোটেল পেনিনসুলায় ‘শোভন কর্ম পরিবেশ নিশ্চিতকল্পে’ আয়োজিত কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি।  দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে রিটেইল সেলস এ কাজের মান উন্নয়ন করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সরকারকে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে ব্র্যাক দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি কাজ করে যাচ্ছে।  এরই ধারাবাহিকতায় ‘শোভন কর্মের বাস্তবায়নের উপর’ এই কর্মশালার আয়োজন করে ব্র্যাক।  কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য ছিল যেসকল সুপার সপ ও নামীদামী ব্র্যান্ড এর শো রুমগুলোতে বিক্রয় কর্মীরা কাজ করেন তাদের জন্য একটি শোভন কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করার উপায় বের করা ও কর্ম ক্ষেত্রে তা বাস্তবায়ন করা।  এতে এই খাতে বহু যুব সমাজ আগ্রহী হবে।
কর্মশালায় চট্টগ্রামে অবস্থিত বিভিন্ন ব্র্যান্ড যথাক্রমে আড়ং, ওয়েল ফুড, স্বপ্ন, মিনা বাজার ও অন্যান্য সুপারশপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মাদ মিজানুর রহমান।  বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফ।  কর্মশালায় ব্র্যাকের প্রধান কার্যালয় থেকে আগত দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার, বিভাগীয় ম্যানেজার ও ব্র্যাক জেলা সমন্বয়ক মো. আবুল কাহহারসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফ বলেন, বিক্রয় কর্মী হিসেবে কাদের নিয়োগ দেয়া হয়।  নিশ্চিয় অতি বয়স্কদের নয়? এই পদে যুব জনগোষ্ঠীকেই নিয়োগ দেয়া হয়।  তারা নিজেদের জীবনে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা আনয়নে কিংবা পরিবারকে সহায়তার জন্য কিংবা নিজেকে সৎপথে থেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এই কাজে যুক্ত হয়।  তাদের কর্মের পরিবেশটা যদি সুন্দর না হয়, তাদের জন্য যদি সহায়ক না হয় তাহলে এর প্রভাব ব্যবসায়ও পড়ে।  সুতরাং বিক্রয় কর্মীদের নিয়োগ দিয়েই শুধু কাজ করানো নয়, তাদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশও তৈরি করে দিতে হবে।  এতে প্রতিষ্ঠান যেমন অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে, তেমনি যুব সমাজের অংশগ্রহণও বৃদ্ধি পাবে।  ফলে সরকারের যে টেকসই লক্ষ্যমাত্রা তাও পূরণ হবে।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর