এখন টার্নিং পয়েন্টে আছে বাংলাদেশ : নৌ প্রতিমন্ত্রী

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
বাংলাদেশ এখন টার্নিং পয়েন্টে আছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। রবিবার (২৮ আগস্ট) রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউতে ‘অ্যান আই অন ভিশন ২০৪১ অব ফ্রেইট ফরওয়ার্ডিং অ্যান্ড লজিস্টিকস সেক্টরস স্কিল ডেভেলপমেন্ট অ্যান অ্যাকাডেমিয়া ইন্ডাস্ট্রি কোলাবেরেশন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দক্ষ জনগোষ্ঠী দরকার। বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে এটা বাস্তবতা। চট্টগ্রাম বন্দর এখন শুধু দেশের নয়, রিজিওনাল কানেকটিভিটির জায়গা হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী পরিকল্পিত উন্নয়ন করছেন দেশের। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা মানবাধিকার নিশ্চিত করছেন। বাংলাদেশের টার্নিং পয়েন্টে আছি আমরা। বাংলাদেশকে সোনার বাংলা বানানো আমাদের টার্গেট। আমাদের প্রচুর তরুণ জনশক্তি আছে। আমাদের অর্থনীতির মেরুদণ্ড নিয়ে নীরবে কাজ করছে বাফা। নতুন কোর্সের সাফল্য কামনা করি। অর্থনীতির মূল ভূমিকা রাখছে প্রাইভেট সেক্টর।
তিনি বলেন, চবিতে শিক্ষার চেয়ে অস্ত্রবাজি বেশি হতো। সেশনজট লেগে থাকত। এখন নতুন নতুন বিষয় পড়ানো হচ্ছে। পনেরোই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের সম্ভাবনাকে হত্যা করা হয়েছিল। সেদিন গর্ভবতী মাকে হত্যা করা হয়েছে। চার বছরেরর শিশুকে হত্যা করেছে। তের বছরের শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। শেখ রাসেলকে হত্যা করা হয়েছে। পঁচাত্তরের পর মানমর্যাদা হরণ করা হয়েছে।
কোভিডের সময় চট্টগ্রাম বন্দর দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ইউএসএইড এবং বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফা) পরিচালিত ডিপ্লোমা কোর্স ইন লজিস্টিক সেক্টরের প্রি লঞ্চিং উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান। তিনি বলেন, লজিস্টিক সাপোর্ট রাইট টাইমে রাইট প্লেসে থাকলে সাকসেস নিশ্চিত। চট্টগ্রাম বন্দরে হাজারো খালি কনটেইনার। সময়ের প্রয়োজনে একজন এমএলওর কনটেইনার আরেকজন এমএলওকে ব্যবহারের জন্য দেওয়া যেতে পারে। পোর্ট, শিপিং এর সঙ্গে ডোর টু ডোর সার্ভিস দরকার। পোর্ট সঠিক ভূমিকা না রাখলে সব স্টেকহোল্ডার সাফার করবে। করোনাকালে চট্টগ্রাম বন্দর চব্বিশ ঘণ্টা সাত দিন চালু ছিল। আমরা বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বাফা থেকে শুরু করে ট্রাক, ট্রেইলার চালক থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসন সবার সহযোগিতা পেয়েছি। আমরা সমন্বয় করেছি শুধু।
নতুন কোর্সকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের লজিস্টিকস খাতে প্রফেশনাল, ফিল্ড ওয়ারকার দরকার। এ খাতে সেফটি ইস্যু খুবই জরুরি। চট্টগ্রাম বন্দর সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে।
উদ্বোধনী বক্তব্য দেন ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ ট্রেড অ্যাকটিভিটির চিফ অব পার্টি মার্ক শাইম্যান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের প্রফেসর ড. মো. মামুন হাবিব ও চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. ইমন কল্যাণ চৌধুরী। আলোচনা করেন বাফার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আমিরুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন বাফার সভাপতি কবির আহমেদ।
বক্তারা বলেন, দেশের বিজনেস ডেভেলপমেন্টের জন্য লজিস্টিক সাপোর্ট, দক্ষ জনশক্তি, মানবসম্পদ, আধুনিক কনটেইনার ডিপো, ট্রান্সপোর্ট ফ্যাসিলিটি, বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো দরকার। ঢাকা বিমানবন্দরের ওয়্যারহাউসের আধুনিকায়ন দরকার।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ