চুরির ভয় : তড়িঘড়ি সোনা জমা দিল চট্টগ্রাম কাস্টমস

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুল্ক বিভাগের গুদামে থাকা লকার থেকে সোনা চুরির পর নড়েচড়ে বসেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। চুরির ভয় এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি মাথায় রেখে বিভিন্ন সময়ে আটক করা ১৭ দশমিক ৪৪ কেজি সোনার বার ও অলংকার তড়িঘড়ি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম শাখায় জমা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
কাস্টমস সূত্র জানিয়েছে, ভল্টে জমা দেওয়া সোনার মধ্য বিভিন্ন ওজনের সোনার বার, গোলাকার সোনার পিণ্ড, চুড়ি, নূপুর, চেইন, নোসপিন, লকেট, রূপান্তরিত সোনার পিণ্ড, সোনার কয়েন, পাত আকারের সোনার টুকরাসহ বিভিন্ন সামগ্রী ছিল। একটি স্টিলের ট্র্যাংক ভর্তির পর সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে সোনাগুলো ভল্টে জমা দেওয়া হয়েছে। তার আগে ট্র্যাংকটির ১০টি পয়েন্টে সিলগালা করা হয়।
এর আগে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিভিন্ন সময়ে আটক ২০৬ কেজি সোনার নিরাপত্তা নিয়ে ঝুঁকির বিষয়টি তুলে ধরেছিল চট্টগ্রাম কাস্টমস। প্রায় ১১৫ কোটি টাকা বাজারমূল্যের এই সোনা বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের অস্থায়ী হেফাজতে আছে। জমাদানের প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় সংরক্ষণ ঝুঁকিমুক্ত রাখতে এসব সোনা ঢাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বুলিয়ান ভল্টে স্থানান্তরের প্রস্তাব দিয়েছিল চট্টগ্রাম কাস্টমস।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের তৈরি এক প্রতিবেদনে জানা যায়, চোরাচালানের সোনা আটক হওয়ার পর সাত দিনের মধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দিষ্ট প্রতিনিধির উপস্থিতিতে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বুলিয়ান ভল্টে জমা করার বিধান রয়েছে। ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরের ক্ষেত্রে তা মানা সম্ভব হলেও দেশের অন্য বিমানবন্দরের ক্ষেত্রে তা মানা যাচ্ছে না। চট্টগ্রামসহ অন্য জায়গার স্থানীয় বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ে অস্থায়ী সেফ ভল্টে সিল করা বাক্সে যৌথ স্বাক্ষরে সাদা কাপড়ে মুড়িয়ে আটক সোনা রাখা হয়। জমা নেওয়ার পর এসব সোনার বারের রিসিভ কপি দেওয়া হয়, যাতে শুধু একটি নম্বর লেখা থাকে। ব্যাংকের ওই রিসিভ কপিতে সোনার বারের গুণগত মান, সত্যতা, সংখ্যা ও ওজন সম্পর্কে কোনো তথ্যই থাকে না। এমনকি সিল করা এসব বাক্সে সোনার বার বা অন্য কোনো বস্তু আছে, তা-ও উল্লেখ করা হয় না। এ কারণেই ঝুঁকির বিষয়টি সামনে এনেছে কাস্টমস।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর