প্রায় ৩৫ কোটি টাকার লটারি জিতলেন এক বাংলাদেশিসহ ২০ জন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
দুবাইয়ে বাজিমাত করেছেন এক বাংলাদেশি ও কেরালার ১৯ নাগরিক।  তারা সবাই কষ্টে অর্জিত অর্থ থেকে সমান অংশীদারিত্বে লটারি, যা বিগ টিকেট নামে পরিচিত, কিনেছিলেন।  শর্ত ছিল জিতলে সবাই লটারির অর্থ সমান ভাগ করে নেবেন।  আল্লাহ তাদের দিকে মুখ তুলে তাকিয়েছেন।  তাই গত শুক্রবার (৩ জুলাই) তারা আবু ধাবিতে দেড় কোটি দিরহামের বা ৩০ কোটি ৫০ লাখ রুপি (বাংলাদেশে ৩৪ কোটি ৬৫ লাখ ৯ হাজার ৬১৩ টাকা) লটারি জিতেছেন।  প্রতি মাসে এই লটারির ড্র হয়ে থাকে।  এ খবর দিয়েছে অনলাইন গালফ নিউজ।  বিজয়ীরা হলেন আবদুল জলিল, আবদুল রউফ, নওশাদ, আনাস, আফজাল, আলি ভাই, ফিরোজ, আলি, গফুর, ইব্রাহিম, জালাল, রণজিৎ, আশীষ, ফরিদ, শিহাব, শনু, বাবু, মানসুর, শিবায়া ও নওফেল মায়ান কালাথিল।
তাদের একার পক্ষে ওই লটারি কেনা সম্ভব ছিল না।  তাই তারা শেয়ারে সমান অর্থ দিয়ে কিনেছিলেন লটারি।  এ সম্পর্কে ৪৫ বছর বয়সী নওফেল মায়ান কালাথিল বলেন, ২০০৫ সাল থেকে দুবাইয়ে কাজ করছি।  গত দু’বছর ধরে আমি বিগ টিকেট কিনে যাচ্ছি।  সাধারণত দুই থেকে তিনজন সহকর্মী এই টিকেট কেনেন।  কিন্তু আমিসহ মোট ২০ জন এবার এই টিকেট কিনেছি।  আমরা কিনেছি দুটি টিকেট।  তার জন্য প্রতিজন ৫০ দিরহাম করে দিয়েছেন, যাতে কারো ওপর আর্থিক চাপ না পড়ে।
জুমেইরা লেকস টাওয়ারে একটি অফিসে নির্বাহী হিসেবে কাজ করেন নওফেল মায়ান কালাথিল।  বাকিরা কম বেতনের কাজ করেন।  এখন পুরস্কারের এই বিপুল অংকের অর্থ সবাই ভাগ করে নেবেন।  এর ফলে প্রতিজন পাবেন ১ কোটি ৭৫ হাজার রুপি বা প্রায় ১ কোটি ৯৮ লাখ ৮১ হাজার ৬৯৯ টাকা।  এই অর্থ দিয়ে সব বন্ধুর জীবন পাল্টে যাবে বলে মনে করেন নওফেল।  তিনি বলেন, তার এসব বন্ধু যথেষ্ট অর্থ উপার্জন করেন না।  করোনা সংক্রমণকালে খুব কঠিন অবস্থায় সময় পাড় করছেন তারা।  বেশির ভাগই কেরালায় ফিরে যাওয়ার পথে।  কিন্তু এই অপ্রত্যাশিত লটারি তাদের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে।  আমার ক্ষেত্রে, এই অর্থ দিয়ে আমার ঋণ শোধ করতে পারবো।  দুই ছেলের পড়াশোনা নিশ্চিত করতে পারবো। সূত্র- মানবজমিন
উল্লেখ্য, এই লটারিতে ভারতের আরো দু’জন বিজয়ী হয়েছেন।  তবে তাদের পুরস্কারের অর্থ অল্প।  এই লটারিতে ভারতের সঞ্জীব থিভাইন্দ্রা ও আবদুল সাত্তার কাদুপুরাম, পাকিস্তানের মুবাশ্বের আজমতুল্লাহ, ফিলিপাইনের ঝোয়ান নাভারো যৌথভাবে দ্বিতীয় হয়েছে।  এতে তারা জিতেছেন ১ লাখ দিরহাম বা ২০ লাখ ৩০ হাজার রুপি।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ