নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হলেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
আগামি বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।  সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ইসরায়েলের ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তিতে মধ্যস্থতা করানোয় এই পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি।  মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নরওয়ের রাজনীতিবিদ টিব্রিং-জেড্ডে এ বছর নোবেল পুরস্কারের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করেন।  তিনি বিশ্বজুড়ে সংঘাত সমাধানে ট্রাম্পের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
ক্রিস্টিয়ান বলেন, ‘তার যোগ্যতা সম্পর্কে বলতে গেলে, আমি মনে করি বিভিন্ন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তিনি যে চেষ্টা করেছেন, তা শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়নপ্রাপ্ত বেশিভাগের মানুষের চেয়ে বেশী’।  ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় ট্রাম্প প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মনোনয়নের চিঠিতে তিনি লিখেছেন, আশা করা হচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পদক্ষেপ অনুসরণ করবে, এ চুক্তি ‘গেম চেঞ্জার’ হয়ে উঠতে পারে, যা মধ্যেপ্রাচ্যকে সহযোগিতা ও সমৃদ্ধির অঞ্চলে রূপান্তর করবে।
গত ১১ আগস্ট ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে রাজি হয় সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)।  এই দুই দেশের ‘ঐতিহাসিক চুক্তির’ কথা ঘোষণা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।  ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো আরব দেশের এই চুক্তি ১৯৪৮ সালে দেশটির স্বাধীনতা ঘোষণার পর মাত্র তৃতীয় ঘটনা।  এর আগে ইসরায়েলের সঙ্গে ১৯৭৯ সালে মিসর ও ১৯৯৪ সালে জর্ডান চুক্তি করেছিল।
নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রবর্তনের পেছনের উদ্দেশ্য ছিল, বিশ্বজুড়ে হানাহানি আর সংঘাত বন্ধে সত্যিকার অর্থে যারা অবদান রেখেছেন বা রাখছেন, তাদের পুরস্কৃত করার মধ্য দিয়ে শান্তির সম্ভাবনার ধারণাকে এগিয়ে নেয়া।  প্রতি বছর অক্টোবরে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি এই পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করে।
২০১৯ সালে শান্তিতে নোবেল পান ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ।  প্রতিবেশী ইরিত্রিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ও দেশটির মধ্যে জাতিগত সংঘাত নিরসনের কারিগর হিসেবে ভূমিকা রাখার কারণে গত বছরের ১১ অক্টোবর রাজধানী অসলো থেকে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি শান্তিতে নোবেল বিজয়ী হিসেবে আবি আহমেদের নাম ঘোষণা করে।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ