মাস্ক না পড়ায় ফ্লাইট বাতিল!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
বিমানে এক শিশু মাস্ক না পরায় ওয়েস্টজেট কোম্পানির একটি ফ্লাইট বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ।  মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) ক্যালগারি থেকে টরেন্টোর উদ্দেশ্যে যাত্রা করার কথা ছিলো বিমানটির।
শিশুটির বাবা সাফওয়ান চৌধুরী বলেন, ওয়েস্টজেট তার ১৯ মাস বয়সী মেয়েকে জোর করে মাস্ক পরাতে চেয়েছিলো।  কিন্তু জোর করায় তার মেয়ের কান্না থামছিলো না তখন।
সাফওয়ান বলেন, আমরা আমাদের তিন বছর বয়সী মেয়েকে মাস্ক পরিয়েছিলাম।  তবে সে তখন মাস্ক খুলে নাস্তা খাচ্ছিলো।  এটা বোঝানোর পরেও ওয়েস্টজেটের কর্মীরা আমাদের বলেন দুইজন বাচ্চাকেই মাস্ক পরাতে হবে।  আমি এবং আমার স্ত্রী উভয়ই তখন মাস্ক পরে ছিলাম।  তিনি বলেন, আমি তখন ফ্লাইট কর্মীদের জিজ্ঞেস করেছি যে আমার মেয়ে তার নাস্তা খাওয়া শেষ করতে পারবে কিনা।  তারা তখন আমাকে তাদের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি সম্পর্কে বলে।  তারা আরো জানায়, ফ্লাইটের প্রত্যেক যাত্রীকে মাস্ক পরতে হবে।  মাস্ক না পরা পর্যন্ত বিমানের দরজা বন্ধ করা হবে না বলেও জানায় তারা।
সাফওয়ান বলেন, অনেক চেঁচামেচির পর আমার বড় মেয়ে মাস্ক পরে।  তবে আমার ছোট মেয়েটি কোনোভাবেই মাস্ক পরতে পারছিলোনা।  তার খুবই কষ্ট হচ্ছিলো।  একপর্যায়ে সে বমিও করে।
সাফওয়ান চৌধুরীর অভিযোগ, ওয়েস্টজেটের কর্মীরা তাদের সঙ্গে আগ্রাসী আচরণ করেছে।  এমনকি বাচ্চার মুখে মাস্ক না থাকায় তাদের এয়ারপোর্ট ত্যাগ করতেও বলা হয়।  এমনটি না করলে তাদের গ্রেফতার করিয়ে কারাগারে পাঠানোর হুমকিও দেয়া হয় বলে জানান তিনি।
সাফওয়ানের দাবি, তিনি ও তার স্ত্রী কোনো ধরনের তর্ক-বিতর্কে না গিয়ে সম্মানের সঙ্গে এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে যান।  এ ঘটনার জন্য কিছু যাত্রীরা বিরক্তি প্রকাশ করছিলেন।  তবে ফ্লাইটের অনেকেই আমাদের পক্ষেও কথা বলেছেন।
এদিকে, বিমান কোম্পানিটি জানিয়েছে, বিমানে থাকা সাফওয়ান চৌধুরি ও তার স্ত্রী তাদের দুই বছরের বেশি বয়সের সন্তানকে মাস্ক পরানোর বিধি অমান্য করেছিলেন।  সমস্যাটি তাদের ছোট বাচ্চার মাস্ক পড়া নিয়ে নয়।  বরং অন্য বাচ্চাটিকেও মাস্ক পরাতে চাননি তারা।  ফলে বিমানের ক্রুরা শুধুমাত্র তাদের নিয়মগুলো সম্পর্কে অবহিত করেছেন।  তবে সাফওয়ান চৌধুরী ও তার স্ত্রী ট্রান্সপোর্ট কানাডার অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ মানতে অস্বীকৃতি জানান।  এছাড়া বিমান থেকে নেমে যেতেও রাজি ছিলেন না তারা।  ফলে বাধ্য হয়ে কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হই আমরা।  এরপর ওই বিমানে পুলিশ ডাকা হয়।
পরবর্তীতে পুলিশ জানায়, এ ঘটনার জন্য ওই পরিবারকে কোনো ক্ষতিপূরণ দিতে হয়নি।  তারা বিমান থেকে নেমে গিয়েছিলেন।  তবে ওই ফ্লাইটটি সেদিনের জন্য বাতিল করা হয়।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ