রোহিঙ্গা নির্যাতনের কথা স্বীকার মিয়ানমারের

ফাইল ছবি।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
বাধ্য হয়ে অবশেষে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির ওপর চালানো নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছে মিয়ানমার।  শুরু থেকে রোহিঙ্গা গণহত্যার কথা অস্বীকার করে আসলেও এই প্রথম রোহিঙ্গাদের ওপর ব্যাপক আকারে নির্যাতনের কথা স্বীকার করলো দেশটি।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে, ২০১৬ থেকে ১৭ সালে রাখাইনে সংঘটিত সহিংসতার বিষয়ে তদন্ত করছে বলে দাবি করে।  তবে রোহিঙ্গা গণহত্যার প্রমাণাদি নষ্টের অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিয়ানমার।  এরমধ্যেই, রাখাইনসহ মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রদেশে দেশটির মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে নতুন প্রতিবেদন দিয়েছে জাতিসংঘ।
দেশটির সামরিক বাহিনীর প্রকাশিত এক বিবৃতির বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, রাখাইনে ২০১৭ সালের আগে ও পরে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো সম্ভাব্য ব্যাপক নির্যাতনের বিষয়ে তদন্ত করছে তারা।  তাদের দাবি, সাধারণ রোহিঙ্গা নয় বরং সশস্ত্র রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে সেনারা।  একইসঙ্গে, কয়েকটি গ্রামে সংঘটিত অপরাধের জন্য কয়েকজন সেনা সদস্যকে সামরিক আদালতে বিচারের দাবি করলেও তাদেরকে ঠিক কী সাজা দেয়া হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি।
তবে জাতিসংঘ বলছে, রাখাইন, চীন, শান, কাচিনসহ বিভিন্ন প্রদেশে এখনো সশস্ত্র অভিযানের নামে সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।  জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রকাশিত নতুন প্রতিবেদনে দেশটিতে অব্যাহতভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।  জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের চলমান ৪৫তম অধিবেশনে প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা করা হবে বলেও জানানো হয়।
এর আগে ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো গণহত্যার প্রমাণ নষ্টে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ মানবাধিকার হাই কমিশনার মিশেলে ব্যাশেলের করা অভিযোগ অস্বীকার করে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।  রাখাইনে কোনো অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকলেও যারা সেখানে সরকারি ও সামরিক ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে করেনি বলে দাবি করেন দেশটির আন্তর্জাতিক সংস্থা ও অর্থ বিভাগের পরিচালক আন আয়ে।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ