অনুমোদন পেলো অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও ফার্মা জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।  সোমবার ভ্যাকসিনটিকে তালিকাভুক্ত করে সংস্থাটি।  এর ফলে উন্নয়নশীল বিশ্বের স্বল্পমূল্যে ভ্যাকসিন পাওয়ার পথ সুগম হলো।  ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।
ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক টেড্রোস আডানম গেব্রিয়াসিস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দ্রুত ভ্যাকসিন বিতরণের সব কিছু এখন আমাদের রয়েছে। কিন্তু এখন আমাদের উৎপাদনে দ্রুতগতি নিয়ে আসা প্রয়োজন।
মহাপরিচালক আরও বলেন, করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদকদের কাছে আমরা আহ্বান জানাই তাদের তথ্য আমাদের কাছে পর্যালোচনার জন্য পাঠাতে। যেমনটি তারা করছে ধনী দেশগুলোর কাছে পাঠাচ্ছে।
এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা অ্যাস্ট্রাজেনেকা-এসকেবায়ো (দক্ষিণ কোরিয়া) এবং সেরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়ার ভ্যাকসিন অনুমোদন দিয়েছে।
পৃথক বিবৃতিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, ২০২১ সালের প্রথমার্ধে কোভ্যাক্স উদ্যোগের আওতায় ৩০০ মিলিয়ন ডোজ ১৪৫ দেশকে দেওয়ার ক্ষেত্রে সরবরাহ ও বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
ডব্লিউএইচও প্যানেলের অভ্যন্তরীণ সুপারিশের পর জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমতি দিল। সুপারিশে বলা হয়েছৈ, ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের ব্যবধানে সব প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য দুটি ডোজ প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া করোনা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা যাবে।
ডব্লিউএইচও’র পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, নিরাপত্তার জন্য আবশ্যক সবগুলো মানদণ্ড রয়েছে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের। এছাড়া এটি গ্রহণে ঝুঁকির চেয়ে উপকার বেশি।
গত বছর ডিসেম্বরে ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন জরুরি প্রয়োগের অনুমতি দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।  কিন্তু ফাইজার বা মডার্নার চেয়ে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন দামে কম ও সহজে বিতরণ করার সুবিধার জন্য বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হচ্ছে।

ডিসি/এসআইকে/এমএস