মহামারিতেও প্রতি ১৭ ঘন্টায় একজন বিলিয়নিয়ার!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
করোনা মহামারি সবকিছু তছনছ করে দিলেও গত এক বছরে প্রতি ১৭ ঘন্টায় বিশ্ব পেয়েছে একজন করে বিলিয়নিয়ার।  ফলে বছর শেষে বিশ্বে মোট বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা ৪৯৩।  এর মধ্যে টানা চতুর্থবার বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধনী অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেফ বেজোস।  গত বছর তার নিট অর্থ ৬৪০০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৭০০ কোটি ডলার।
বিশ্বের অন্য যেকোনো শহরের চেয়ে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে সবচেয়ে বেশি বিলিয়ানিয়ার বসবাস করেন।  ফোর্বস ম্যাগাজিনের সর্বশেষ বার্ষিক ধনীদের তালিকায় বলা হয়েছে, বেইজিংয়ে গত বছর বিলিয়নিয়ারের খাতায় যোগ হয়েছেন নতুন করে ৩৩ জন।  এ নিয়ে ওই শহরে বসবাসকারী বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা এখন ১০০।  সংকীর্ণভাবে বেইজিং পিছনে ফেলেছে নিউ ইয়র্ক সিটিকে।
এ শহরে আছেন ৯৯ জন বিলিয়নিয়ার।  তারা গত সাত বছর ধরে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন।  এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এতে আরো বলা হয়, দ্রুততার সঙ্গে চীন নিয়ন্ত্রণে এনেছে করোনা ভাইরাসকে।  তাদের রয়েছে প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের উত্থান।  শেয়ার বাজারের অবস্থা ভাল।  এসবই তাদেরকে শীর্ষস্থানে উঠে আসতে সহায়তা করেছে।  যদিও বিগ অ্যাপলের চেয়ে অধিক বিলিয়নিয়ার আছে এখন বেইজিংয়ে, তবু নিউ ইয়র্কের বিলিয়নিয়ারদের রয়েছে বেইজিংয়ের বিলিয়নিয়ারদের তুলনায় ৮০০০ কোটি ডলার বেশি।  বেইজিংয়ের সবচেয়ে ধনী অধিবাসীর নাম ঝাং ইমিং।  তিনি ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটকের প্রতিষ্ঠাতা এবং এর মূল প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।  তার নেট অর্থের পরিমাণ দ্বিগুন হয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫৮০ কোটি ডলার।  পক্ষান্তরে নিউ ইয়র্কের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হলেন সাবেক মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ।  তার আছে নেট ৫৯০০ কোটি ডলারের সম্পদ।
করোনা মহামারিকালে বেশির ভাগ মানুষ কেনাকাটা করেছেন অনলাইনে।  বিনোদনের মাধ্যম ছিল অনলাইন।  ফলে প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে এগিয়ে থাকা চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র এই মহামারির মধ্যেও ভাল অর্থ উপার্জন করেছে।  এর ফলে প্রতিষ্ঠাতা এবং শেয়ারহোল্ডারদের ব্যক্তিগত সম্পদ ফুলেফেঁপে উঠেছে।  চীনের বিলিয়নিয়ার হিসেবে হংকং এবং ম্যাকাউয়ের বিলিয়নিয়ারদেরও ধরা হয়েছে।  গত এক বছরে বৈশ্বিক বিলিয়নিয়ারের তালিকায় নতুন যোগ হয়েছে ২১০ জনের নাম।  কিন্তু অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় এতে সবচেয়ে বেশি বিলিয়নিয়ার যুক্ত হয়েছে চীনে।  চীনের অর্ধেকের বেশি নতুন বিলিয়নিয়ার তাদের সম্পদ গড়েছেন শিল্পোৎপাদন এবং প্রযুক্তিগত খাত থেকে।  এর মধ্যে রয়েছেন নারী বিলিয়নিয়ার কেট ওয়াং।  তিনি ই-সিগারেট খাত থেকে এই অর্থ উপার্জন করেছেন।  ভারতে রয়েছে তৃতীয় সর্বোচ্চ বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা।  সেখানে এই সংখ্যা ১৪০।  এশিয়া প্যাসিফিকের মোট ১১৪৯ জন বিলিয়নিয়ারের রয়েছে ৪.৭ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থ।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ