মানুষের মাথা দি‌য়ে স্যুপ রান্না করেন তিনি

বিচিত্র বিশ্ব ডেস্ক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
নারী মানে সহজ-সরল এমনটিই ধারণা সবার।  একটু কোমল, শান্ত হবে নারীদের ব্যবহার- এমনটাই ভাবে প্রায় সবাই।  নারীদের বলা হয়ে থাকে কোমলতা, ভালোবাসা ও শান্তির প্রতীক।  প্রকৃতিই তাদের এই বৈশিষ্ট্যগুলো দিয়েছে।  কিন্তু এর ব্যতিক্রমও কম নেই।  নারী যদি হয়ে উঠে হিংস্র বা কুখ্যাত কোনো খুনি, তাহলে স্বভাবতই আমাদের মনে সেগুলো ভয়াবহ চিত্র হিসেবেই দাগ কাটবে।
এই পৃথিবীতে এমন নারী রয়েছেন যাদের নৃশংসতা ও হিংস্রতা হার মানিয়েছে সবকিছুকে।  তাদের গল্প কেড়ে নেয় রাতের ঘুম।  যারা কুখ্যাত নারী হিসেবেই বিশ্বে পরিচিত।  আজ তাদের একজন সম্পর্কে জানাবো, যিনি মৃতদেহের চামড়া ছাড়িয়ে বেডরুমের দরজার পেছনের হুকের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন।  শুধু তাই নয়, প্রাইসের মৃতদেহ থেকে মাথা কেটে নিয়ে সেটা দিয়ে স্যুপ রান্না করতেন।
নাম তার ক্যাথরিন নাইট।  তিনি অস্ট্রেলিয়ায় ১৯৫৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন।  তাকে বিশ্বের ইতিহাসে ভয়ঙ্করতম একজন নারী হিসেবেই গণ্য করা হয়।  তার বাবাও ছিলেন একজন মদ্যপ।  প্রকাশ্যে তিনি তার স্ত্রীকে দিনে ১০ বার পর্যন্ত ধর্ষণ করেছিলেন।  বাবার মতো অন্যায়ের পথে মেয়েও নেমেছিলেন।
ক্যাথরিন তার প্রথম স্বামীর দাঁত উপড়ে ফেলার পর তার হিংস্রতার প্রমাণ আসতে শুরু করে।  যখন দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব শুরু হয় তখন তিনি তার স্বামীর আট সপ্তাহ বয়সী একটি কুকুরের জিহ্বা কেটে নেন এবং পরে কুকুরের চোখ তুলে ফেলেন।  কয়েক মাস পরে জন চার্লস প্রাইস নামে একজনের সঙ্গে তার গোপন সম্পর্ক গড়ে ওঠে।  জন চার্লস প্রাইস অনেক ধন-সম্পদের মালিক ছিলেন।  ক্যাথরিনের হিংস্রতা সম্বন্ধে আগে থেকেই প্রাইস অবহিত ছিলেন।
প্রাইসের সঙ্গে সম্পর্কের কিছু দিনের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন এই ক্যাথরিন।  একপর্যায়ে ক্যাথরিন ৩৭ বার ছুরিকাঘাতে প্রাইসকে হত্যা করেন।  এরপর প্রাইসের মৃতদেহের চামড়া ছাড়িয়ে বেডরুমের দরজার পেছনের হুকের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন।  শুধু তাই নয়, প্রাইসের মৃতদেহ থেকে মাথা কেটে নিয়ে সেটা দিয়ে স্যুপ রান্না করে বাচ্চাদের জন্য রেখে বাইরে চলে যান ক্যাথরিন।  তবে বাচ্চারা বাড়ি ফেরার আগেই পুলিশ এসে হতভাগ্য প্রাইসের মরদেহ উদ্ধার করে।  সে সময় মৃত্যুদণ্ডের বিধান না থাকায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ