নির্দিষ্ট দেশের আধিপত্যের বিরোধিতা ঢাকা-ওয়াশিংটনের

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক নীতির মধ্যে অনেক মিল আছে। উভয় দেশ চাচ্ছে না, এ অঞ্চলে নির্দিষ্ট একটি দেশ তাদের আধিপত্য বিস্তার করুক, বা এখানে অবাধ চলাচলে বাধা হয়ে দাঁড়াক, এমন তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
আজ মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মিরা রেসনিকের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান পররাষ্ট্র সচিব।
বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুকের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র জানে। ওই আউটলুকে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির সঙ্গে অনেক মিল আছে জানিয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশাগুলো হচ্ছে— এখানে যাতে অবাধে চলাচল করা যায়, এখানে অর্থইৈতোক সম্ভাবনাকে পুরোপুরি ব্যবহার করা হয়। সেগুলোর বিষয়ে তারাও একমত আছে। সুতরাং, তারাও চায় না একটি নির্দিষ্ট দেশ এখানে আধিপত্য বিস্তার করুক, বা অবাধ চলাচলে বাধা হয়ে দাঁড়াক’।
র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা
র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে দুই পক্ষ আলোচনা করেছে। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আমরা বলেছি যে, প্রতিটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে যে অভিযোগ আসে, সেগুলোর প্রতিটিকে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করে এর উত্তর আমরা বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে দেই। আমাদের দেশে বিচারহীনতার কোনো সুযোগ রাখি না’।
আমাদের প্রত্যেকটি বাহিনীর একটি স্ট্যান্ডার্ড অব প্রসিডিওর আছে। একটি গুলি খরচ হলেও সেটিরও একটি জবাবদিহি আছে বলে তিনি জানান। পররাষ্ট্র সচিব জানান, সব দুর্ঘটনার সঙ্গে যে সরকার জড়িত থাকে, বিষয়টি সে রকম নয়। কিছু দিন আগে গাজীপুরে একজন শ্রমিক নেতা মারা গেছেন। সেখানে সরকার তো কিছু করেনি। কিন্তু আমাদের শেষ পর্যন্ত জবাবদিহির একটি বিষয় থাকে। ১৭ কোটি মানুষের দেশ। একেক জায়গায় একেক রকম ঘটনা ঘটতেই পারে। সুতরাং, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জড়িত থাকার কোনো খবর পেলে তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ