চট্টগ্রামের পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ পুজা পরিষদের

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
আসন্ন দুর্গাপূজায় পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় স্থায়ী পুলিশ-আনসার না দেয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ।  সোমবার (১৯ অক্টোবর) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।  এসব পুজামণ্ডপের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার বলেন, ‘আসন্ন শারদোৎসবে পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় স্থায়ী পুলিশ-আনসার না দেয়ার সিদ্ধান্তে পূজা কমিটিগুলো উদ্বিগ্ন এবং সনাতন সম্প্রদায়ের জনগণ আরও শঙ্কিত।  প্রতি বছর শারদোৎসব চলাকালীন পূজামণ্ডপের পাহারায় স্থায়ীভাবে ৪-১০ জন পুলিশ-আনসার এবং ৫-১০ জন ভিডিপি নিয়োগ দেয়া হতো।  কিন্তু এবার শুধু টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।  এতে নিরাপত্তা কতটুকু হবে তা সবাইকে ভাবিয়ে তুলছে।  এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি’।
তিনি বলেন, ‘হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ধর্মের মানুষের মিলিত রক্তস্রোতে এদেশ স্বাধীন হলেও মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ চেতনা বারবার প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী দ্বারা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।  বর্তমান সরকার মৌলবাদী গোষ্ঠীর উত্থান আপাতত সামাল দিতে পারলেও তাদের গোপন কার্যক্রম এখনো চলছে’।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, করোনা দুর্যোগের কারণে এবার কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করেছে মহানগর ও আঞ্চলিক পূজা কমিটিগুলো।  পূজার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। জৌলুসপূর্ণ আলোকসজ্জা, মণ্ডপের সাজসজ্জা, থিম, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আরতি প্রতিযোগিতা, সাউন্ড সিস্টেম বর্জন করা হবে এবং এগুলো থেকে যে অর্থ সাশ্রয় হবে তা করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত গরিব ও অনাথালয়ে বিতরণ করা হবে।
 পূজামণ্ডপ ও বিসর্জন অনুষ্ঠানে লোকসমাগম না করতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে এবং ভক্ত ও দর্শনার্থীরা যাতে সুরক্ষিত থাকেন তার জন্য সবার প্রতি ২৬ দফা নির্দেশনা দিয়ে লিফলেট প্রচার করা হবে।
পরিষদের নেতারা মনে করেন, মানুষ আবার ঘুরে দাঁড়াবে, করোনা জয় করে আগামী বছর আনন্দ-উদ্দীপনায় এ উৎসব সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে পালন করা হবে।

ডিসি/এসআইকে/এমএনইউ