কখনো বিয়ে করেননি ২১.৭ শতাংশ নারী, ৩৫.৮ শতাংশ পুরুষ

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
প্রাপ্তবয়স্ক হলেও এখনো ৩৫ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ অবিবাহিত। এদের কখনো বিয়ে হয়নি। এটি ২০২৩ সালের অবস্থা। ২০২২ সালেও ছিল একই চিত্র।
অন্যদিকে বর্তমানে ২১ দশমিক ৭ শতাংশ নারীর কখনো বিয়ে হয়নি। ২০২২ সালে এর হার ছিল ২১ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ বিয়ের দিক থেকে পুরুষের চেয়ে এগিয়ে নারীরা।
রবিবার (২৪ মার্চ) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সদরদপ্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স ২০২৩’ ফলাফল প্রকাশ হয়। যাতে উঠে আসে এসব তথ্য।
এছাড়া মৃত্যুহারের বিষয়ে বলা হয়, নারীর থেকে পুরুষের মৃত্যুর হার বেশি। ২০২৩ সালে প্রতি হাজারে পুরুষের মৃত্যুর হার ৬ দশমিক ১ শতাংশ। আর সেখানে নারীর ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
প্রতিবেদনে আরও উঠে এসেছে, দেশে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব এক হাজার ১৭১ জন। প্রতি হাজার জনসংখ্যায় স্থূল জন্মহার ১৯ দশমিক ৪, যা ২০২২ সালে ছিল ১৯ দশমিক ৮ শতাংশ।
সন্তান প্রসবের বিষয়ে বলা হয়, ২০২২ সালে স্বাভাবিক পদ্ধতিতে সন্তান প্রসবের হার ছিল ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশ। যা কমে এখন হয়েছে ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ। অর্থাৎ অস্ত্রোপচারে (সিজার) প্রসবের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এর হার ২০২২ সালে ছিল ৪১ দশমিক ৪ শতাংশ। যেটা ২০২৩ সালে এসে ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পুরুষদের প্রথম বিয়ের গড় বয়স ২৪ দশমিক ২ বছর। আর নারীদের ১৮ দশমিক ৪ বছর। প্রতি হাজার জনসংখ্যায় অভ্যন্তরীণ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে পল্লিতে আগমনের হার ২০ দশমিক ৪ এবং শহরে আগমনের হার ৪৩ দশমিক ৪। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অভিগমন প্রতি হাজারে ৬ দশমিক ৬১ জন থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে হয়েছে ৮ দশমিক ৭৮ জন।
অনুষ্ঠানে পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। আর প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন ও পরিসংখ্যান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ