স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য কত হওয়া জরুরি?

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
বিয়ের জন্য বেশিরভাব পুরুষ তার চাইতে কম বয়সি কোনো নারীকে বেছে নেন। আবার দেখা যায় নারীরাও পুরুষদের ভালো অবস্থানের জন্য বিয়েতে রাজি হয়ে যান। কেউ কেউ পুরুষদের এই ভালো অবস্থানের কারণে ১০, ১৫ এমনকি ২০ বছর বয়সের পার্থক্যেও বিয়ে করেন। যদিও আজকাল অনেক পুরুষই নিজের চাইতে বয়সে বড় নারীকেও জীবন সঙ্গী হিসেবে বেছে নেন। আবার কেউ কেউ সমবয়সীকেও বিয়ে করেন।
বয়সের এই ব্যবধান কারো কারো সম্পর্ক ভালো করে তোলে। আবার কয়েকজনের ক্ষেত্রে তা অনেক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বয়সের ঠিক কেমন পার্থক্যে বিয়ে করলে সংসার সুখের হবে তা অনেকেরই প্রশ্ন। তাই চলুন জেনে নেয়া যাক সংসার সুখের হওয়ার জন্য নারী-পুরুষের মধ্যে বয়সের ব্যবধানটা ঠিক কত হওয়া জরুরি-
৫-৭ বছরের ব্যবধান
বয়সের এমন ব্যবধান থাকলে দম্পতিদের মধ্যে ঝগড়া, বিবাদ, ভুল বোঝাবুঝি কম হয়। দুজনের মধ্যে একজন যদি পরিণত বয়সের হয় তবে সে সম্পর্ককে অটুটভাবে ধরে রাখে। বয়সের এই ব্যবধানকে বিয়ের জন্য আদর্শ বলে মনে করা হয়। কারণ এতে করে একে অপরকে খুব কাছে থেকে বোঝা সম্ভব হয়।
১০ বছরের ব্যবধান
অনেক ক্ষেত্রে ১০ বছর বয়সের ব্যবধানকে আদর্শ মনে করা হয় যদি দুজনের মধ্যে ভালোবাসা থাকে। যখন তারা নিজেদের জীবনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ঠিক করে নেবে তখন এই ১০ বছরের ব্যবধান কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করবে না। তবে অনেক ক্ষেত্রে এমন বয়সের ব্যবধানে স্ত্রী স্বামীর ওপরে কোনো কথা বলতে পারে না। সেক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়।
২০ বছরের ব্যবধান
আপাতদৃষ্টিতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এই বয়সের ব্যবধান আদর্শ নয়। যদিও অনেক বিখ্যাত দম্পতি আছেন যাদের বয়সের ব্যবধান ২০ বছরের বেশি। এই ব্যবধানে লক্ষ্য, উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং মতামতের ব্যাপক পরিবর্তন হবে। সব থেকে বড় সমস্যা হতে পারে সন্তান নেয়ার ক্ষেত্রে। বয়স্ক সঙ্গী দ্রুত সন্তান নিতে চাইবে তবে সেক্ষেত্রে বয়সে কম সঙ্গী আগ্রহী হবে না। তাদের চিন্তাধারার পার্থক্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
বয়সের ব্যবধান কতটা প্রভাব ফেলে
বয়সের ব্যবধান অনেকটাই প্রভাব ফেলে। কারণ এতে মতামতের বিশাল পার্থক্য থাকে। তবে বর্তমান বিশ্ব প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। বিবাহ হয়ে গেছে ক্ষণস্থায়ী। সাধারণভাবে বয়সের ব্যবধান যত বেশি হয় দম্পতিরা ততো বেশি সমস্যার মুখোমুখি হয়। এজন্য বয়সের ব্যবধান কম হলেই তাকে আদর্শ ধরা হয়। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ