যেসব খাবার সৌভাগ্য বয়ে আনে

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক : বিশ্বাসে মেলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর- প্রচলিত এই কথার মতোই কোনো তর্কে না গিয়ে সৌভাগ্যের খাবার হিসেবে বছরের প্রথম দিনে এগুলোর স্বাদ নেওয়া যেতেই পারে। আর যাই হোক ভালো খাবার অন্তত শরীরের জন্য তো উপকারী হবেই।বিশ্বের অনেক দেশেই নতুন বছরের প্রথম দিনে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে নানান ধরনের খাবার খাওয়া হয়। জীবনযাপন বিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে এমন কয়েকটি খাবারের তথ্য তুলে ধরা হলো দৈনিক চট্টগ্রাম ডটনেটের পাঠকের জন্য।

আঙুর : ইউরোপ ও আমেরিকায় বিশ্বাস করা হয়, মধ্যরাতে এক ডাটায় ১২টি ফল খাওয়া বছরের ১২ মাসের সৌভাগ্য বয়ে আনে।

মাছ : চীনা ভাষায় মাছ শব্দের উচ্চারণ অনেকটা প্রাচুর্যের মতো। তাই তারা বিশ্বাস করেন যে, মাছ খাওয়া সৌভাগ্যের প্রতীক।

নুডুলস : হংকংয়ে চীনা নববর্ষের সময় নুডুলস খাওয়া একটা ঐতিহ্য। এটা দীর্ঘায়ুর প্রতীক। বলা হয়ে থাকে, রান্নার সময় নুডুলস ভেঙ্গে বা ছোট হয়ে যায় না। নুডুলসের দৈর্ঘ্য ও রান্নার সহজ উপায় ভোজকের জীবনের প্রতীক। নুডুলস সিদ্ধ বা ভাজা যে কোনো পদ্ধতিতেই রান্না করা যেতে পারে। হংকং’য়ে নুডুলস রান্নার নানান পদ্ধতি প্রচলিত আছে।

বাদাম : বাদাম নতুন জীবনের প্রতীক। বড়দিন বা নতুন বছর উপলক্ষে একে অপরের বাসায় বাদাম নিয়ে বেড়াতে যায়। তাছাড়া উৎসবের এই সময়ে কেক, পিঠা, মাফিন এবং অন্যান্য মিষ্টি খাবারের বাদামের ব্যবহার করা হয়। সবচেয়ে মজায় বিষয় হলো- নিউ ইয়র্ক’য়ে বিশেষ এক ধরনের কেক বানানো হয় যা বাদাম ও পয়সা দিয়ে তৈরি। এটা নতুন বছরে নিয়মিত উন্নতির প্রতীক। খবর বিডিনিউজের

ডোনাট : বিশ্বাস করা হয়, গোলাকার খাবার যেমন- ডোনাট সারা বছরের ইঙ্গিত দেয়। এটা কেবল সৌভাগ্যেরই প্রতীক নয় বরং এটা বেশ মজাদারও। তাই বছরের শুরুর দিনে ডোনাট খাওয়া সৌভাগ্যের প্রতীক।

কমলা : চীনের ঐতিহ্য অনুযায়ী সোনালি রংয়ের ফল যেমন- কমলাকে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ট্যানজারিন বা ছোট কমলাকে সমৃদ্ধির এবং বড় কমলাকে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। চীনে নববর্ষ উদ্যাপনের সময় এই দুই ফল অনেক বেশি ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও, এই মৌসুমে কমলার চাষ ও ফলন ভালো হওয়ায় তা সমৃদ্ধি ও আনন্দ বয়ে আনে।

মসুরির ডাল : ভারতে সৌভাগ্যের চিহ্ন হিসেবে ধরা হয়। এই ডাল দেখতে অনেকটা পয়সার মতো। তাই একে সমৃদ্ধি ও উন্নতির চিহ্ন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

পাতাবহুল সবজি : পালং শাক, শাক, বাঁধাকপি ইত্যাদি নতুন বছরের খাবার মেনুতে যোগ করুন। সবুজ রং ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়। এটা নবায়ন, উন্নতি, সজীবতা, বৃদ্ধি এবং সমৃদ্ধির প্রতীক। তাছাড়া পাতলা শাক ভাজ করা অবস্থায় টাকার মতো লাগে। তাই একে সমৃদ্ধি ও উন্নতির প্রতীক হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।  

ডালিম : এর বীজ ঊর্বরতা ও জীবনের প্রতীক। অনেক ফলেই বীজ থাকে কিন্তু কোনোটাই ডালিমের মতো সৌভাগ্য জনক হিসেবে ধরা হয় না। গ্রীসে, রাত বারটা বাজার সঙ্গে সঙ্গে মূল দরজার সামনে একটা ডালিম পেষা হয়। এসময় যত বেশি বীজ ছড়িয়ে পড়ে তা তত বেশি সৌভাগ্য ও উন্নতির লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এখান থেকে বিশ্বব্যাপি ডালিমকে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়।