মেগা প্রকল্প স্থগিত করে করোনা মোকাবিলায় অর্থ বরাদ্দের দাবি ২০ দলের

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটে মেগা প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হওয়া অর্থ স্থগিত রেখে করোনা সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট।  জোটের সমন্বয়কারী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘২০ দল সারা বিশ্বের অভিজ্ঞতার আলোকে বিলম্বে বাস্তবায়ন সম্ভব- এমন সব মেগা প্রকল্প স্থগিত করে, সেই অর্থে করোনা সংকট মোকাবিলায় বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছে’।  আজ সোমবার (৬ জুলাই) দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জোটের পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।  এর আগে গতকাল রবিবার (৫ জুলাই) ২০ দলীয় জোটের এক ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়।  জোটের সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো জানাতে আজকের সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে করোনা শনাক্তে দৈনিক কমপক্ষে ৬০ হাজার নমুনা পরীক্ষা ও সব হাসপাতাল-ক্লিনিকে আইসিইউ-ভেল্টিলেশনের ব্যবস্থা করে করোনা চিকিৎসার উপযোগী করার দাবি জানান নজরুল ইসলাম খান।  দেশের সব রাজনৈতিক দল, শ্রেণি-পেশার সংগঠন, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সম্মিলিত ও সক্রিয় প্রয়াসই শুধু দেশবাসীকে মহামারির ভয়াল প্রকোপ থেকে বাঁচাতে পারে বলেও উল্লেখ করেন ২০ দলের সমন্বয়ক।
এ সময় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট নিয়ে অহেতুক সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন নজরুল ইসলাম খান।  তিনি বলেন, বিদেশ থেকে নিম্নমানের কিট, মাস্ক, পিপিইসহ সুরক্ষা সামগ্রী আমদানিতে সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে।  নিম্নমানের সুরক্ষা সামগ্রীর ব্যবহার অসংখ্য রোগী এবং ফ্রন্টলাইন স্বাস্থ্যসেবীসহ বহু জনের অকাল মৃত্যুর কারণ হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে বেকার হয়ে পড়া এবং দিন আনে দিন খায় এমন দরিদ্র পরিবারের জন্য রেশন কার্ডের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরবরাহেরও দাবি জানান নজরুল ইসলাম খান।  তিনি বলেন, করোনা সংকটে ৫ লাখ কোটি টাকারও বেশি টাকা বাজেট হটকারী।  এই বাজেটে দরিদ্র গণমানুষের কোনো কল্যাণ নয়, ধনবান ও ক্ষমতাসীনদের স্বার্থ রক্ষা করবে।  তাই ২০ দল এই বাজেট প্রত্যাখ্যান করছে।
জোটের সমন্বয়ক আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনে নির্বাচন কমিশনের ‘রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন-২০২০’ নামে নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ অসময়োপযোগী, অপ্রয়োজনীয় ও উদ্দেশ্যমূলক বলে মনে করছে ২০ দলীয় জোট।

ভার্চুয়াল বৈঠকে জোটভুক্ত ২২টি দলের মধ্যে ১৯টি দলের শীর্ষ নেতারা ছিলেন। তারা হলেন- বিএনপির নজরুল ইসলাম খান, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জামায়াতে ইসলামীর মিয়া গোলাম পারোয়ার, খেলাফত মজলিশের আহমেদ আবদুল কাদের, ইসলামী ঐক্যের এম এ রকীব, জমিয়তে উলামা ইসলামীর আল্লামা নুর হোসেনেই কাশেমী, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খান, ডেেেমাক্রেটিক লীগের সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, পিপলস লীগের চেয়ারম্যান গরীব নেওয়াজ, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান আবু তাহের, এনডিপির আবু মো. তাহের, জাগপার খোন্দকার লুৎফুর রহমান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম ও বাংলাদেশ ন্যাপের শাওন সাদেকী।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ