জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে ফখরুলের শুভেচ্ছা

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
নবনিযুক্ত জাপানের ৯৯তম প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  এক টুইট বার্তায় তিনি এ শুভেচ্ছা জানান।  বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তিনি এই টুইট করেছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবীর খান।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে পদত্যাগের ঘোষণা দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।  তার স্থলাভিষিক্ত হলেন ইয়োশিহিদে সুগা।  ২০১২ সালে শিনজো আবে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তার ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন সুগা।  আবের গোটা শাসনামলেই মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্ব সামলেছেন।  এ সময় তার ক্ষমতাকে অনেকটা চিফ অব স্টাফ ও প্রেস সচিবের সমন্বয় বলা চলে।
তবে ক্ষমতায় চূড়ায় পৌঁছানোর এ সুদীর্ঘ যাত্রাপথ মোটেও সুগম ছিল না ইয়োশিহিদে সুগার জন্য।  জাপানের আকিতা অঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকায় এক কৃষক পরিবারে জন্ম নিয়েছেন তিনি।  বাবা ছিলেন স্ট্রবেরি চাষি।  হাইস্কুল পার করেই রাজধানী টোকিওতে পাড়ি জমান ইয়োশিহিদে সুগা।  সেখানে পড়াশোনার খরচ জোগাতে কার্ডবোর্ড ফ্যাক্টরি ও মাছের বাজারে কাজ করেছেন তিনি।  গ্রাজুয়েশন শেষে চাকরি জীবনে প্রবেশ করেন সুগা, তবে সেখানে মন টেকেনি।  বিশ্বকে বদলে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে পরে যোগ দেন রাজনীতিতে।
আশির দশকের শেষের দিকে ইয়োকোহামার সিটি কাউন্সিল নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন ইয়োশিহিদে সুগা।  সেসময় রাজনৈতিক যোগাযোগ বা অভিজ্ঞতা কোনোটাই খুব বেশি ছিল না তার।  শুধু ছিল দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর পরিশ্রমের মনোবল।  সশরীরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন তিনি।  এভাবে দৈনিক ৩০০ বাড়ি করে মোট ৩০ হাজার বাড়ির দরজায় হাজির হয়েছিলেন সুগা।  এলডিপির তথ্যমতে, ওই নির্বাচনী প্রচারণায় অন্তত ছয় জোড়া জুতা ক্ষয় হয়েছিল এ নেতার।
প্রথম নির্বাচনে জেতার সেই দৃঢ় চেষ্টা আর পরিশ্রমের অভ্যাস আর কখনোই বদলায়নি ইয়োশিহিদে সুগার।  প্রকাশ্যে না এসেও বহু আলোচিত চুক্তির কারিগর তিনি।  হয়ে উঠেছেন জাপানের অন্যতম সফল রাজনৈতিক নেতা ও আদর্শ।  একমাত্র সুগাই শিনজো আবের যোগ্য উত্তরসূরি হতে পারেন বলে মনে করছেন জাপানের রাজনীতিবিদরা।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ