বাংলাদেশ সময়মতো ভারতের কোভিড-১৯ টিকা পাবে : দোরাইস্বামী

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
করোনা ভাইরাসের যে টিকা ভারত তৈরি করবে, বাংলাদেশ তা ‘সময়মতো’ পাবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঢাকায় তার দেশের মিশনের কাজ শুরু করলেন ভারতের নতুন হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।  তিনি বৃহস্পতিবার (০৮ অক্টোবর) বিকালে বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে নিজের পরিচয়পত্র পেশ করেন। আর এর মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রদূত হিসেবে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন শুরু করলেন দোরাইস্বামী।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতে নতুন হাই কমিশনার কোভিড-১৯ টিকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।  ভারতের হাই কমিশনার বলেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নকে ‘যথেষ্ট গুরুত্ব’ দেয়।  ভারতে যে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন উৎপাদিত হবে সেটা বাংলাদেশ ‘সময়মতো’ পাবে।
বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিশ্বের নানা দেশে কোভিড-১৯ টিকা তৈরি হলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বীকৃতিবিহীন কোনো টিকা নেওয়া হবে না।  ভারতের কোম্পানি বায়োটেক একটি টিকা তৈরি করছে, তারা বাংলাদেশে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের আগ্রহও দেখিয়েছে।  এছাড়া অক্সফোর্ডের গবেষকদের উদ্ভাবিত টিকার বড় অংশ উৎপাদন হবে ভারতে।
রাষ্ট্রপতি ভারতের নবনিযুক্ত হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ভারত শুধু বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশীই নয়, ‘বিশ্বস্ত বন্ধুও’।  রাষ্ট্রপতি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
প্রেস সচিব বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার।  এ সম্পর্ক কূটনৈতিক পরিমন্ডল ছাড়িয়ে বাণিজ্য-বিনিয়োগ, শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্প্রসারিত হয়েছে’।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, নবনিযুক্ত হাইকমিশনার দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে সম্ভাবনাময় প্রতিটি ক্ষেত্রকে কাজে লাগাতে সর্বাত্মক প্রয়াস চালাবেন।  রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামীম উজ জামান, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
নতুন ভারতীয় দূত বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি দল তাকে গার্ড অব অনার দেয়।  রীভা গাঙ্গুলী দাসের উত্তরসূরি হিসেবে ঢাকায় নয়া দিল্লি মিশনের দায়িত্ব নিলেন দোরাইস্বামী।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৯৯২ ব্যাচের কর্মকর্তা বিক্রম দোরাইস্বামী অতিরিক্ত সচিব হিসেবে আন্তর্জাতিক সংগঠন ও সম্মেলন বিভাগের ইনচার্জের দায়িত্ব পালন করছিলেন।  দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস পড়া বিক্রম দোরাইস্বামী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেওয়ার আগে কিছুদিন সাংবাদিকতাও করেছেন।
বাংলাদেশ মিশনের দায়িত্ব পাওয়ার আগে দক্ষিণ কোরিয়া ও উজবেকিস্তানে ভারতের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব সামলেছেন এই পেশাদার কূটনীতিক।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ