সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইক-ক‌মেন্ট-শেয়ার নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী‌দের প্রতি ক‌ঠোর নি‌র্দেশনা

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
সোশ্যাল মিডিয়ায় শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও অপ্রীতিকর কার্যকলাপ রুখতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের ছয়টি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।  গতকাল বৃহস্পতিবার (০৮ অক্টোবর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনা জারি করা হয়।
নির্দেশনায় রাষ্ট্র, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোনো কিছু সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা কিংবা লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার না করার বিষয়ে বলা হয়।  নির্দেশনায় আরো বলা হয়, যুগোপযোগী ও আধুনিক রাষ্ট্র গড়ে তোলার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষা পাঠদান, নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে অনেক ভূমিকা পালন করা হয়।  অনলাইনে ক্লাস, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে সম্পর্ক তৈরি করা এবং রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে অগ্রযাত্রার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
 শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য জারি করা ছয়টি নির্দেশনাগুলো হলো-
১. সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে সরকার বা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো পোস্ট, ছবি ভিডিও বা অডিও আপলোড, কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।  সেইসঙ্গে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান আ অন্য কোনো সার্ভিস বা পেশাকে হেয়প্রতিপন্ন করে, এমন কোনো পোস্ট দেয়া থেকে বিরত থাকা।
২. জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থী কোনো রকম তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।  কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে এমন ধর্মনিরপেক্ষতা নীতি পরিপন্থী কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা যাবে না।  সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট বা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে এরূপ কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা থেকে বিরত থাকা।
৩. জনমনে অসন্তোষ বা অপ্রীতিকর মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো লেখা, অডিও বা ভিডিও প্রকাশ বা শেয়ার করা এবং ভিত্তিহীন অসত্য বা অশ্লীল তথ্য প্রচার না করা।
৪. মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃপক্ষ সামাজিক ও যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের গাইডলাইন, চাকরির বিধি এবং এ সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করে কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করা।
৫. প্রতিষ্ঠান প্রধানরা কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের বিধি ভঙ্গ করলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং প্রয়োজনে তদন্ত করে এর প্রমাণ আঞ্চলিক অফিসের মাধ্যমে অধিদফতরকে অবহিত করা।
৬. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় বিভিন্ন গ্রুপ বা পেজে অ্যাডমিনরা পোস্ট/কমেন্ট ইত্যাদি অনুমোদনে করার সময় সরকারি নীতিমালার পরিপন্থী স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান, দফতর ও সংস্থার বিপক্ষে অবস্থানকারী কোনো পোস্ট অনুমোদন করবেন না।  অন্যথায় অ্যাডমিন এবং পোস্টদাতা উভয়েই সরকারি বিধি অনুযায়ী অভিযুক্ত হবেন এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
এর আগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের নির্দেশিকা জারি করে।  সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় শিক্ষামন্ত্রীকে নিয়ে অপপ্রচার চালালে দুজন বেসরকারি শিক্ষকের এমপিও স্থগিত করা হয়।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ