ভোটার ভোটকেন্দ্রে যায় না, বারবার এ কথা বলেন কেন : সিইসি

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
করোনায় দু-একটি নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল।  এছাড়া করোনার আগেও ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যায়নি।  এটা কী ইসির প্রতি অনাস্থা নাকি রাজনীতির প্রতি এক ধরনের অনীহা?  এমন প্রশ্নে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘কোনোক্রমেই ইসির প্রতি অনাস্থা হওয়ার কারণ নেই।  আর নির্বাচনে যায় না– এটাও মানতে রাজি নই।  কারণ করোনার মধ্যেও যশোরে নির্বাচনে হয়েছে।  ৬১ শতাংশ লোক সেখানে ভোট দিয়েছে।  করোনা ও বন্যার মধ্যেও ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে।  সম্প্রতি যে নির্বাচনগুলো হলো, সেখানেও ৬১ থেকে ৬৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।  কয়েক দিন আগে বাগেরহাটে, খুব সম্ভবত গাইবান্ধায়ও ৬৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে।  সম্প্রতি কিছু স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়েছে, সেসব জায়গায়ও চাঁদপুরে ৩৪ শতাংশ ভোট পড়েছে।  আরেকটা কোথায় হলো যেন ইভিএমে, সেখানে ৬১ শতাংশ ভোট পড়েছে।  সুতরাং ভোটার ভোটকেন্দ্রে যায় না, এ কথা তো আমি হিসাবেই পাই না।  আপনারা বারবার এ কথা বলেন কেন?  এরপরও আমি বলব, যার যার ভোট তিনি দেবেন।  নির্বাচনে তারা ভোটার হিসেবে ভোট দেবেন, এটাই আশা করি।  আরেকটা বিষয় থেকে যায়, প্রতিদ্বন্দ্বিতা।  মাঠে ব্যাপকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন যদি না হয়, তখন কিন্তু ভোটারদের অনীহা থাকে।  এটাও কাজ করে।  অনেক নির্বাচনই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হচ্ছে না আনফরচুনেটলি।  নির্বাচন যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা, প্রতিযোগিতামূলক হয় তখন ভোটারও বেশি হয়’।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা-৫ ও ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সমন্বয় সভায় এ কথা বলেন নূরুল হুদা।
সব দলই তো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, তাহলে নির্বাচন কেন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হচ্ছে না?  এমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, ‘কখনও কখনও তারা (প্রার্থী) নির্বাচন থেকে চলে যায়।  তারা সরে আসে।  তখন প্রতিযোগিতা থাকে না।  আগে থেকেই নির্বাচনের সিরিয়াসনেস দেখি না।  নাম উল্লেখ করতে চাই না, কোনো কোনো নির্বাচনে দেখেছি, যারা প্রতিদ্বন্দ্বী তাদের পোস্টার নেই, মিছিল নেই।  এটার লক্ষণ হলো এই যে, মাঠের অবস্থান বোঝা যায়।  ভোটাররা দেখে যে, কার অবস্থান বেশি।  বড় নির্বাচনে যদি বড় দল প্রতিযোগিতায় মাঠে না থাকে, তাহলে তো তার লোকরা ভোট দিতে যাবে না।  সে কারণেও ভোটার অনেক কম হতে পারে।  এরকম অনেক হিসাব আছে।  আমাদের পক্ষ থেকে আমরা হলাম নির্বাচনের ম্যানেজার, ম্যানেজমেন্ট করি’।
ঢাকা-৫ ও ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচন উপলক্ষে সিইসি বলেন, ‘এ দুটি আসন নিয়ে বিশেষ করে ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচন একেবারে সামনে চলে এসেছে।  সেটা নিয়ে যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে।  নির্বাচন এলাকায় কোনো রকম অসুবিধা নেই।  আমলে নেয়ার মতো কোনো রকম অসুবিধা নেই।  গতকালও আমাদের সঙ্গে বিএনপি প্রার্থী এবং তাদের প্রতিনিধিদের কথা হয়েছে।  তারা নির্বাচন সম্পর্কে ছোটখাটো কিছু অভিযোগ করেছেন, কিন্তু ব্যাপকভাবে বা সামগ্রিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা ম্যাজিস্ট্রেটদের সহযোগিতা তারা পেয়ে যাচ্ছেন- এ কথা তারা বলেছেন।  আজকের সভায় পোলিং এজেন্টদের নিয়ে কথা হয়েছে।  পোলিং এজেন্ট দেয়ার দায়িত্ব নির্বাচনে যারা প্রতিযোগিতা করেন তাদের।  যদি কোনো পোলিং এজেন্ট কেন্দ্রে আসেন, তার নিরাপত্তা তারা দেবেন।  কেন্দ্রে আসার সময়ও যদি কোনো প্রার্থী মনে করেন যে, তার এজেন্ট ভোটকেন্দ্রে আসতে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে থাকেন, তাহলেও তারা সাহায্য-সহযোগিতা করবেন।  এরকম কথা হয়েছে।  চ্যালেঞ্জিং কিছু নেই বিশেষ করে ঢাকা-৫ উপনির্বাচনে’- বলেন নূরুল হুদা।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ