জীবন সঙ্কটে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন।  তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের বরাত দিয়ে শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আদ-দ্বীন হাসপাতালের মহাপরিচালক ডা. অধ্যাপক নাহিদ ইয়াসমিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ডা. অধ্যাপক নাহিদ ইয়াসমিন বলেন, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক স্যারকে এখনও লাইফ সাপোর্টেই রাখা হয়েছে।  তার অবস্থা অপরিবর্তিত।  বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় আক্রান্ত তিনি।  স্যারের চিকিৎসার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।  তারা বলেছেন, সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় আছেন তিনি।  আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করে যাচ্ছি।  বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।  আপনারা স্যারের জন্য দোয়া করবেন।
গত বুধবার (২১ অক্টোবর) ডা. নাহিদ ইয়াসমিন গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘স্যারের অবস্থা মঙ্গলবার রাত থেকে খারাপের দিকে যায়।  অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়।  তাৎক্ষণিক তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়।  এরপর থেকে তিনি সেখানে আছেন।  তার অবস্থা ক্রিটিক্যাল।  তবে তিনি সাড়া দিচ্ছেন’।
রক্ত শূন্যতা ও প্রস্রাবের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত জটিলতা দেখা দেয়ায় গত শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মগবাজারের আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  তখন তার শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল।
শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে রাজধানীর মগবাজারে অবস্থিত আদ-দ্বীন হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক।  কিন্তু গত শনিবার ১৭ অক্টোবর তিনি কিছুটা সুস্থবোধ করলে সকালের দিকে রিলিজ নিয়ে বাসায় ফিরে যান।  এরপরে দুপুরের পরপরই ফের তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
জানা গেছে, রক্তশূন্যতা, ইউরিন সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছেন প্রবীণ এই আইনজীবী।  তিনি ডা. রিচমন্ড রোল্যান্ড গোমেজের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।  এর আগে গত জুনে ডায়াবেটিস কমে যাওয়ায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তখনো আদ-দ্বীন হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক।  তখন তিনি পল্টনের বাসায় অবস্থান করেই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন।
ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ১৯৩৫ সালের ২ নভেম্বর কলকাতার সুবর্ণপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।  তিনি ১৯৯০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে একই বছরের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা ছিলেন।  তিনি ছিলেন রাষ্ট্রের ষষ্ঠ প্রধান আইন কর্মকর্তা (অ্যাটর্নি জেনারেল)।  ২০১৭ সালে বাম পায়ের হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের পর থেকে তার চলাফেরা সীমিত হয়ে পড়ে।  এ কারণে তিনি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন না।
বয়োবৃদ্ধ খ্যাতিমান এ মানুষটির বিছানায় শুয়েই দিনের বেশিরভাগ সময় কাটে।  চলাফেরা করতে হুইল চেয়ার আর কর্মচারীরাই তার সঙ্গী।

ডিসি/এসআইকে/এমএস