নিরাপদ পানির অভাব বাংলাদেশের ৬ কোটি ৮৩ লাখ মানুষের : ইউনিসেফ-হু

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
বাংলাদেশে ৬ কোটি ৮৩ লাখ মানুষের নিরাপদ খাবার পানির ও ১০ কোটি ৩০ লাখ মানুষের নিরাপদ স্যানিটেশন সুবিধার অভাব রয়েছে।  এছাড়া অগ্রগতির হার চারগুণ না হলে ২০৩০ সালে বিশ্বজুড়ে কয়েকশ’ মানুষ নিরাপদ খাবার পানি, স্যানিটেশন ও পরিচ্ছন্নতা সেবাগুলো নেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) নতুন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘গৃহস্থালি খাবার পানি, স্যানিটেশন ও পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক অগ্রগতি ২০০০-২০২০’ শীর্ষক যৌথ মনিটরিং প্রোগ্রাম (জেএমপি) প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।  এতে গত পাঁচ বছরে পরিবারগুলোর উন্নত উৎসের খাবার পানি, স্যানিটেশন ও পরিচ্ছন্নতা পরিষেবা প্রাপ্তির সুযোগ বিষয়ক হিসাব তুলে ধরা হয়েছে।  একই সঙ্গে ‘২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য পানি ও স্যানিটেশনের সহজলভ্যতা ও টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক ষষ্ঠ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের অগ্রগতি মূল্যায়ন করেছে।  প্রথমবারের মতো প্রতিবেদনে মাসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক ক্রমবিকাশমান জাতীয় উপাত্তও তুলে ধরা হয়েছে।
২০২০ সালে প্রতি ৪ জনের মধ্যে একজনের বাড়িতে নিরাপদ খাবার পানি এবং বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যার নিরাপদ স্যানিটেশন সুবিধার অভাব ছিল।  বাংলাদেশে ৬ কোটি ৮৩ লাখ মানুষের উন্নত উৎসের খাবার পানির এবং ১০ কোটি ৩০ লাখ মানুষের নিরাপদ স্যানিটেশন সুবিধার অভাব রয়েছে।  করোনায় প্রত্যেকে যাতে হাত পরিস্কার রাখার সুযোগ পায়, তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীতা তুলে ধরেছে।  মহামারি শুরুর দিকে বিশ্ব প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৩ জনের বাড়িতে সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়ার সুযোগ ছিল না।
প্রতিবেদনে পানি, স্যানিটেশন ও পরিচ্ছন্নতা (ওয়াশ) পরিষেবাগুলোর সার্বজনীন প্রাপ্যতা অর্জনের পথে কিছু অগ্রগতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।  ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে, বাড়িতে উন্নত উৎসের খাবার পানির সুযোগ আছে এমন জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বৈশ্বিকভাবে ৭০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।  নিরাপদ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার সুযোগ আছে এমন জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৪৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।  সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়ার সুযোগ আছে এমন জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৬৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭১ শতাংশ হয়েছে।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ