রোহিঙ্গারা-আটকেপড়া পাকিস্তানিরা ‘বোঝা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
জাতিগত নিপীড়নের শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে শরণার্থী হয়ে আশ্রয় নেয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গা এবং আটকেপড়া পাকিস্তানিরা বাংলাদেশের জন্য ‘বোঝা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (১৭ অক্টোবর) ইউরোপের দেশ নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান জিরার্ডভ্যান লিউয়েন দেখা করতে গেলে তার সঙ্গে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোই যে এই সঙ্কটের সমাধান, তা ডাচ রাষ্ট্রদূত স্বীকার করেন।
বৈঠকে তাদের আলোচনার বিষয়বস্তু সাংবাদিকদের জানান প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিন বছর হয়ে গেছে। এরা (রোহিঙ্গা) আমাদের জন্য বোঝা। তাদের জন্য আমাদের কক্সবাজারের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। আমাদের কিছু বনজ সম্পদও নষ্ট হয়েছে।
প্রসঙ্গক্রমে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে আটকে পড়া পাকিস্তানি নাগরিকদের বিষয়েও শেখ হাসিনা বলেন, এগুলো আমাদের উপর অনেক অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে। ডাচ রাষ্ট্রদূতকে উদ্ধৃত করে প্রেস সচিব বলেন, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা, এনজিও কর্মকর্তা এবং আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তার আলাপ হয়েছে এবং রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনই এই সঙ্কটের একমাত্র সমাধান বলে সবাই মনে করেন।
ডাচ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনায় বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ব-দ্বীপ রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ তার দেশের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারে বলে মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশের উন্নয়নে নেদারল্যান্ডসের অবদান এবং ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ প্রণয়নে দেশটির সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
নিজের নেদারল্যান্ডস সফরের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, নেদারল্যান্ডসে কৃষির সংরক্ষণে গ্রিন হাউজ প্রকল্প দেখে অভিভূত হয়েছি। বাংলাদেশও একটি কৃষিভিত্তিক দেশ এবং তার সরকার কৃষির উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয়। বাংলাদেশে ডিজিটালাইজেশনের বিষয়টি তুলে ধরে তার আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে এর ‘স্থপতি’ হিসেবে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
অ্যান জিরার্ডভ্যান লিউয়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন বলে প্রেস সচিব জানান।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ