ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতিও আইন চান : নজিবুল বশর

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেছেন, আমরা চার দফা প্রস্তাব দিয়েছি।  তার মধ্যে আইন প্রণয়নের কথা বলেছি। সংবিধানের ১১৮ (১) ধারায় আইনের মাধ্যমে ইসি গঠনের কথা বলা আছে।  মহামান্য রাষ্ট্রপতিও একই কথা বলেছেন।  তিনি বলেছেন, আমি নিজেই সংবিধানের মানুষ।  যেহেতু সংবিধানে আছে, একবার হয়ে গেলে আর প্রশ্নের উদ্রেক হয় না।  অতএব তিনি একমত পোষণ করেছেন।  আইনের পক্ষে মতামত দিয়েছেন।  আইনের যে প্রক্রিয়া আছে, তাতে আলাপ আলোচনার ব্যাপার আছে।  এ বিষয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতি আমাদের মতামতকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, তিনি এ বিষয়ে কথা বলবেন।  তিনি নিজেও চান আইন দ্রুত হোক।
নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে সংলাপ শেষে সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৫ টায় বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।
নজিবুল বশর বলেন, আইনের পক্ষে মতামত দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, যেহেতু একটু সময় দরকার।  এটি সময় নিয়েই করলেই ভালো।  আলোচনা করে…প্রয়োজনে আমিও বসতে পারি।  সরকারও বসতে পারে।  আলোচনা করে একটি খসড়া তৈরি করে সংসদে পাস হলো।  তিনি বলেন, যেহেতু আমাদের হাতে এক মাস সময় আছে।  যদি এই মুহূর্তে আইন করা নাও যায়, তারপরও ভবিষ্যতে আইন করতে হবে।  এটা এরই মধ্যে জনগণের দাবিতে পরিণত হয়েছে।  সরকারের আইনমন্ত্রীও বলেছেন, তিনিও এ বিষয়ে একমত।  এটার যেন ব্যত্যয় না ঘটে তার জন্য রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করেছি।
সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠন হতে পারে এমন ইঙ্গিত কি রাষ্ট্রপতি দিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উনি ইঙ্গিত না দিলেও, আমি মনে করি সার্চ কমিটির মাধ্যমেই ইসি গঠন হবে।  কেন সার্চ কমিটিতেই ইসি নিয়োগ হবে বলে আপনি মনে করেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি নিজেই একজন আইন প্রণেতা।  বহুকাল ধরে সংসদে আছি।  আইন করতে হলে সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।  কারণ কাল আইন করলে, পরশুই প্রশ্ন উঠবে।
তিনি বলেন, আমরা প্রস্তাব দিয়েছি নিবন্ধিত দলগুলো ছাড়াও সুশীল সমাজের ব্যক্তিদের সঙ্গে সংলাপ করার জন্য।  কোনো ধরনের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী বা তাদের পরিবারের সদস্য কাউকে ইসি হিসেবে নিয়োগ না দিতে বলেছি।  সার্চ কমিটির জন্য সাংবিধানিক পদ থেকেই করার কথা বলেছি।  সার্চ কমিটিতে একজন সাংবাদিককে রাখতে বলেছি।  এছাড়াও বলেছি আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি, সাবেক সচিব, শিক্ষক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিকে এ কমিটি রাখতে।
গত দুই সংলাপেও আইনের কথা বলেছিলেন। তারপরও সেটার বাস্তবায়ন হয়নি।  বিষয়টি কিভাবে দেখছেন এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক।  একজন সংসদ সদস্য হিসেবে আমি এ জন্য দুঃখিত।  বঙ্গবন্ধু সংবিধানে আইনের কথা বলেছিলেন।  কিন্তু সেটার বাস্তবায়ন কোনো সরকারই করেনি।
এ সময় মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ হাবিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ কামাল নুরী আল-সুরেশ্বরী, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. সৈয়দ আবু-দাউদ মসনবী হায়দার, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ তৈয়বুল বশর, যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র মুহাম্মদ আলী ফারুকী।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ