সন্ত্রাসবাদকে প্রতিহত করার দৃঢ় অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
ধর্মীয় উগ্রবাদসহ যেকোনো সন্ত্রাসবাদকে প্রতিহত করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। দেশবাসীকে উদ্দেশ করে শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ‘আসুন, আমরা নতুন বছরে প্রতিজ্ঞা করি- ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে সর্বদা সমুন্নত রাখবো, দেশকে ভালোবাসবো, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করবো এবং ধর্মীয় উগ্রবাদসহ যেকোনও সন্ত্রাসবাদকে প্রতিহত করবো’।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত-সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। নতুন বছরে মানুষে-মানুষে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন জোরদার হোক, সকল সংকট দূরীভূত হোক এবং সকলের জীবনে বয়ে আসুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি-এই প্রার্থনা করি’।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘প্রকৃতির নিয়মেই যেমন নতুনের আগমনী বার্তা আমাদের উদ্বেলিত করে, তেমনই অতীত-ভবিষ্যতের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে পুরনো স্মৃতি সম্ভার হারিয়ে যাওয়ার চিরায়ত স্বভাব কখনও আনন্দ দেয়, আর কখনো বা কৃতকর্মের শিক্ষা নব উদ্যমে সুন্দর আগামির পথচলার জন্য অনুপ্রেরণা যোগায়’।
২০২০ এবং ২০২১ সাল বাঙালি জাতির জীবনে ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক উল্লেখ করে সরকার প্রধান জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের কথা তুলে ধরেন।

বাণীতে তিনি সরকারের গৃহীত কর্মসূচির ফলে দেশের উন্নয়নের কথাও তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, ‘নানা প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে আমরা বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। চলমান করোনা মহামারি পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে আমি ৩১ দফা নির্দেশনা দিয়েছি। ক্রান্তিকাল উত্তরণে ডাক্তার-নার্স-টেকনিশিয়ান নিয়োগ করেছি। দরিদ্র অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, অর্থনীতির চাকা সচল রাখা এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে ২৮টি প্যাকেজের আওতায় ১ লাখ ৮৭ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকার প্রণোদনা দিয়েছি”।
তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। বাংলাদেশ ‘এসডিজি প্রোগ্রেস অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেছে। আমরা ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করেছি। আমরা ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ বাস্তবায়ন শুরু করেছি। আমাদের সরকার তারুণ্যের শক্তির সঙ্গে ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তিজ্ঞান সমন্বিত করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দেওয়ায় সক্ষম প্রজন্ম সৃষ্টিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ”।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ