সরকারের সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক- এমন দলইগুলোই মিডিয়া কাভারেজের জন্য সংলাপে অংশ নিচ্ছে : কর্ণেল অলি

মো. আবুল কাশেম, ঢাকা করেসপনডেন্ট >>>
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কোনো প্রকার সংলাপে অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ বীরবিক্রম।  একইসঙ্গে তার দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) তেজগাঁওয়ে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
অলি আহমদ বলেন, জনগণের পয়সায় আমরা কোনো চা চক্রে যেতে রাজি নই।  অনিবন্ধিত কিছু দল আছে এবং যেসব দলের সরকারের সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক, সেসব দলই মিডিয়া কাভারেজের জন্য সংলাপে অংশে নিতে যাচ্ছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছেন।  কিন্তু তিন মাসের এই সরকার কোনো সমস্যারই সমাধানের জন্য যথেষ্ট নয়।
এলডিপি প্রেসিডেন্ট বলেন, সরকারের প্রতিটি সেক্টরে ছাত্রলীগ-যুবলীগের লোকজন ঢুকে পড়েছে।  ছাত্রলীগের ছেলেরা সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পেয়ে বসে আছে।  দেশের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রকাশ্যে হোক বা অন্তরে হোক আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে মিশে গেছে।  দেশে এমনভাবে অরাজকতা চলছে যে, এখন অনেকেই বিদেশে নিষেধাজ্ঞা পাচ্ছেন।  এটা শুধু কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ নয়।  এ অবস্থায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতির পরিবর্তন না করে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ কিংবা শুধু তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিয়ে নির্বাচন করলেই সমস্যা সমাধান হবে না।
দেশের পরিস্থিতি পরিবর্তনে জাতীয় সরকার গঠনই যথার্থ বলে মনে করেন তিনি।  অলি আহমদ বলেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলে কোনো লাভ হয় না।  কারণ, প্রধানমন্ত্রী যা করতে চান, তাই করবেন।  আওয়ামী লীগের আমলে কখনো কোনো সুষ্ঠু ভোটের নির্বাচন হয়নি।  তিনি আরও বলেন, ইউনিয়ন থেকে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কিংবা কেন্দ্রীয় নেতা, এমন কেউ নাই যার দুই-চার তলা বাড়ি নাই।  দেশে উন্নয়ন হচ্ছে, তবে এভাবেই হচ্ছে।  ১০ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট ৩০ হাজার কোটি টাকাতে ঠেকছে।  কোনো প্রজেক্ট নির্দিষ্ট সময়ে হয় না।  আমিও মন্ত্রী ছিলাম, আমার সময়ে কোনো প্রজেক্ট নির্দিষ্ট সময়ের বেশি লাগেনাই।
এসময় জনগণের জন্য সুশাসন নিশ্চিত করা, দেশে মানবাধিকার নিশ্চিত করা ও সাংবাদিকদের জন্য সত্য প্রচারে সুযোগ প্রদানের দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ডিসি/এসআইকে/এমএকে