বুড়িগঙ্গায় ৪ ঘুমন্ত শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক

নারায়ণগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীতে বালু পরিবহনে ব্যবহৃত একটি নৌযান (বাল্কহেড) ডুবে ঘুমন্ত চার শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ভোরে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ খেয়াঘাট এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম জানান। খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা নদীতে তল্লাশি চালিয়ে চারজনের লাশ উদ্ধার করে।

নিহতরা হলেন ঝালকাঠির নলছিটির কান্দেবপুর এলাকার তৈয়ব আলীর ছেলে লুৎফর রহমান (৩৯), পিরোজপুরের কাউখালীর চাষেরকাঠি এলাকার আব্দুর রব তালুকদারের ছেলে মোস্তফা মিয়া (৫৫), পিরোজপুরের বটবাড়ির ছোট আরজি এলাকার রাশেদ হাওলাদারের ছেলে বাবু হাওলাদার (১৮) ও বরিশালের বানারিপাড়ার ইলুহার এলাকার মহিবুল্লাহ (৬০)। এমভি তসলিম -১ নামের ওই নৌযানের মাস্টার আমির হোসেনসহ দুজন সাঁতরে তীরে উঠতে পারায় প্রাণে বেঁচে যান।

মাস্টারের বরাত দিয়ে ফতুল্লার বিসিক শিল্পনগরী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ কাজল মিয়া বলেন, রাত আড়াইটার দিকে ধর্মগঞ্জ খেয়াঘাট এলাকায় নদীতে বাল্কহেডটি নোঙ্গর করা হয় মেরামত করার জন্য। কাজ শেষে শ্রমিকরা ইঞ্জিন রুমে ঘুমিয়ে পড়েছিল। নৌযানে কোনো ছিদ্র ছিল, যেটা তারা বুঝতে পারেনি। পানি ঢুকছে বুঝতে পেরে মাস্টারসহ দু’জন বেরিয়ে এসে সাঁতরে তীরে ওঠেন। কিন্তু বাকি চারজন ভেতরে আটকা পড়ে। খবর বিডিনিউজের

ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, ওই বাল্কহেডের সঙ্গে অন্য কোনো নৌযানের সংঘর্ষের কোনো খবর তারা পাননি। ঘটনাটি দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা এলাকায় হওয়ায় নিহত চারজনের লাশ উদ্ধারের পর ওই থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।