ডেরেক শোলেকে বিএনপির জ্বালাও-পোড়াওয়ের তথ্য জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
বিএনপির জ্বালাও পোড়াওয়ের বিস্তারিত তথ্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের কাউন্সেলর ডেরেক শোলের কাছে তুলে ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বুধবার (১৫ ফ্রেবুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের কাউন্সেলর ডেরেক শোলের নেতৃত্বে সফররত ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করে।
বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপির জ্বালাও পোড়াওয়ের তথ্য তাঁর (ডেরেক শোলে) কাছে তুলে ধরেছি। এত মানুষের মৃত্যুর তথ্যে তারা হতভম্ব। শোলের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে আলাপ হয়েছে কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচন বা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিয়ে তাদের সঙ্গে তেমন আলাপ হয়নি। তারা নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ দেখায়নি। তাদের আগ্রহ ছিল বাংলাদেশের সঙ্গে আরও সম্পর্কের গভীরতা বাড়ানো নিয়ে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ না করা নিয়ে জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, আপনি গণতন্ত্র কাকে শিখাইতে আসছেন? এ দেশের লোক গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছে। ত্রিশ লাখ লোক গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং ন্যায়বিচারের জন্য রক্ত দিয়েছে। আপনি কাকে শেখাতে চাচ্ছেন গণতন্ত্র?
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এটা আমাদের আলোচনার বিষয় নয়। এ নিয়ে ওরা কিছু বলে নাই। আমেরিকায় তাদের নিয়মে গণতন্ত্র। তারা যাকে ইচ্ছে দাওয়াত দেবে, যাকে ইচ্ছা দাওয়াত দেবে না। দেয়ার ইজ আপ টু দেম। অনেকগুলো দেশকে তারা দাওয়াত দেয়, যেগুলোতে গণতন্ত্রের নাম-গন্ধ নেই।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে ড. মোমেন বলেন, আপনার মনে রাখা উচিত বাংলাদেশের গণতন্ত্র দুনিয়ার অন্যান্য যেকোনো দেশের গণতন্ত্রের চেয়ে ভালো। আমেরিকার ৭৭ পারসেন্ট লোক উভয় দলের ডেমোক্রেট অ্যান্ড রিপাবলিকান সবাই বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র দুর্বল। ইয়াং আমেরিকানরা ভোট দেয় না। আমাদের সেদিক থেকে ৮০ পারসেন্ট লোক ভোট দেয়।
এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ পাওয়া মিশরের উদাহরণ দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) যাকে ইচ্ছে দেবে। মিশরের মতো দেশ সেখানে গণতন্ত্র আছে? তারাও দাওয়াত পায়।
যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয়বারের মতো গণতন্ত্র সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে। জো বাইডেন দেশটির প্রেডিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০২১ সালে প্রথম গণতন্ত্র সম্মেলনের আয়োজন করে। সেই সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এ বছরের মার্চে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে ইতোমধ্যে ১০০-এর বেশি দেশকে আমন্ত্রণ জানালেও তালিকায় নেই বাংলাদেশের নাম।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ